পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিচালনায় নির্বাচনপদ্ধতির প্রবর্তন করেন । বিদ্যালয়ের পরিচালকরূপে সর্বাধ্যক্ষ পদের স্বষ্টি হল, শিক্ষণব্যবস্থা স্ববিদ্যস্ত করার উদ্দেশ্রে বিদ্যালয়ের সমস্ত ছাত্রকে আদ্য মধ্য ও শিশু— এই তিন ভাগে ভাগ করা হল । প্রত্যেক বিভাগের জন্ত একজন করে অধ্যক্ষ নিযুক্ত হলেন ; তারা শিক্ষণবিষয়ে সর্বাধ্যক্ষকে সাহায্য করতেন । সর্বাধ্যক্ষ এবং বিভাগীয় অধ্যক্ষ সকলেই বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং এক বৎসরের জন্ত অধ্যাপক সভা-স্বারা নির্বাচিত । পরবর্তীকালে নির্বাচিত শিক্ষকপ্রতিনিধির সহায়তায় বিদ্যালয় পরিচালনার এই ব্যবস্থা আরো প্রসারিত হয় । তৎকালীন 'তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা’ ও ‘শাস্তিনিকেতন’ পত্রে বিদ্যালয় সংক্রান্ত নানাবিধ তথ্য জানা যায় । “রমাকান্তবাবুর ছেলে গেছেন আমি জানি । কুঙ্কৰাবুর সঙ্গেও দুই একটি ছেলে যাইবে— ইহারাও বেতন দিবে।” শাস্তিনিকেতন বিদ্যালয়ের স্বচনায় গুরুশিষ্যের প্রাচীন ভারতীয় আদশে ছাত্রদের কাছ থেকে বেতন নেওয়া হত না । বিভিন্ন সময়ে এই বিষয়ে রবীন্দ্রনাথ যা বিবৃত করেছেন, তার মধ্যে দুটি সংকলিত হল—

  • .এটি আমার মনে ছিল যে যারা আসবে তাদের সঙ্গে আমার দেন পাওনার সম্পর্ক না থাকে— বিদ্যাদানকে ব্যবসায় করে তুললে শিল্পদের সঙ্গে আধ্যাত্মিক সম্বন্ধে অন্তরায় ঘটে ; ছাত্ৰ মনে করে, আমি কিছু দিচ্চি তার পরিবর্তে কিছু পাচ্চি ।..."
  • ছাত্রদের কাছ থেকে বেতন নিতুম না ; ছেলেদের অন্নবস্ত্ৰ, প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্ৰী যেমন করে হোক আমাকেই জোগাতে হত,

১. প্রবাসী, ২৭ বৈশাখ ১৩se। ‘প্রাক্তনী-গ্ৰন্থভুক্ত । פאסיא