পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৰিবৰ্ত্তন আবণ্ডক হয়, সহজ হইবে না। আপাতত শালবাগানের স্থই ঘরে নগেন আইচের তত্ত্বাবধানে আরো গুটিকয়েক ছাত্রের সঙ্গে একত্রে রাখিলে কেন অহুবিধা হইবে বুঝিতে পারিতেছি না। আপনার মুসলমান রুটিওয়াল পর্য্যন্ত চালাইয়া দিতে চান, ছাত্র কি অপরাধ করিল ? একসঙ্গে হিন্দু মুসলমান কি এক শ্রেণীতে পড়িতে বা একই ক্ষেত্রে খেলা করিতে পারে না ? চাকর রান্নাধর হইতে কয়েকজনের খাওয়া আনাইয়া শালবাগানে খাওয়াইয়া যাইবে । যে কয়জন তাহার সঙ্গে একত্রে খাইতে সম্মত তাহারা নিজের বাসন নিজে মজিবে । ছেলেদের পক্ষে এইরূপ স্বেচ্ছাকৃত সাধনা উপকারজনক । প্রাচীন তপোবনে বাঘে গরুতে একঘাটে জল খাইত, আধুনিক তপোবনে যদি হিন্দু-মুসলমানে একত্রে জল না খায় তবে আমাদের সমস্ত তপস্তাহ মিথ্যা । আবার একবার বিবেচনা করিবেন ও চেষ্টা করিবেন যে আপনাদের আশ্রমদ্বারে আসিয়াছে তাহাকে ফিরাহয়া দিবেন না— যিনি সৰ্ব্বজনের একমাত্র ভগবান তাহার নাম করিয়া প্রসন্নমনে নিশ্চিস্তচিত্তে এই বালককে গ্রহণ করুন ; আপাতত যদি বা কিছু অসুবিধা ঘটে সমস্ত কাটিয়া গিয়া মঙ্গল হুইবে " পত্র ৮ । তারিখহীন । কুঞ্জলাল ঘোষকে কেন্দ্র করে বিদ্যালয়ে যে-সব সমস্তা ও অশাস্তি দেখা দিয়েছিল, এই চিঠিতে সেই ঘটনাজনিত ক্ষোভ লক্ষ করা যায় । ৯-সংখ্যক চিঠিতে রবীন্দ্রনাথ বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষতার ভার র্তার জামাতা সত্যেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের উপর ন্যস্ত করার কথা মনোরঞ্জনকে ২• পৌষ ১৩০৯ তারিখে জানাচ্ছেন। ৭-সংখ্যক চিঠিতে (১৯ অগ্রহায়ণ ১৩৩৯ ) রবীন্দ্রনাথ মনোরঞ্জনকে লিখছেন, “আগামী সোমবারে প্রাতের ট্রেনে বোলপুরে যাইব ।” এর থেকে অনুমিত হয়, বর্তমান পত্ৰ সত্যেন্দ্রনাথের উপর বিদ্যালয়ের কর্তৃত্বভার দেওয়ার আগে লেখা । সম্ভবত ש3\א