পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ক্ষৰাধ এখনো আসিয়া পৌছেন নাই— কাল , সকালে আসিতেও পারেন। | | হিসাব করিয়া দেখিলাম, ব্যাঙ্কে এখন আমার এক বৎসরেরও সঙ্গতি নাই— বৎসরশেষে বোধ হয় অনেক টাকা অনটন পড়িবে— অতএব এবারকার মত আপনার ঘর যদি না করি মাপ করিবেন— শুনিয়াছি আপনার ভাই এখনো দেশ ছাড়িবার কোনও ব্যবস্থা করেন নাই, অতএব এখন আপনার তেমন বেশি তাগিদ নাই। পূবদিকে যে ভিত পত্তন করা হইয়াছে তাহার উপরে ল্যাবরেটরি ঘর তৈরি করিব, যতদিন না যন্ত্রাদি সংগ্রহ হয় ততদিন কুঞ্জবাবু সপরিজনে সেখানে আশ্রয় লইবেন তাহার পরে তিনি স্বতন্ত্র ব্যবস্থা করিবেন— কাজ লইবার সময়েই তিনি বাসস্থানের কথা বলিয়া রাখিয়াছিলেন, আমি প্রতিশ্রুত হইয়াছিলাম, এখন তাহাকে অসুবিধায় ফেলা আমার পক্ষে অসম্ভব হইয়াছে । আমি নিজের লেখাপড়ার জন্য একটি নিভৃত ঘর তৈরি করার সংকল্প করিয়াছিলাম তাহাও আপাতত স্থগিত রাখিয়াছি, যদি অর্থের সচ্ছলতা ঘটে তবে দেখা যাইবে । নরেন যদি না আসেন, তবে আপনি ও জগদানন্দ মাঝের ঘরে স্থান লইবেন, আমাকে আপনার ঘরটি ছাড়িয়া দিতে হইবে— নতুবা আমার লেখা একেবারে বন্ধ। সে ঘরে দিনের বেলায় আমি কাজ করিব— রাত্রে র্যাহার খুসি শয়ন করিতে পারিবেন। আপনারা কৃষ্ণনগরে স্বাস্থ্যকর স্থান পাইয়াছেন শুনিয়া “খুসি হইলাম। জগদানন্দের যত্বে নিশ্চয়ই সেখানে আপনাদের > 8