পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“বড় ছেলেদেৱ একেবারে বিদায় করা গেল।” মোহিতচন্দ্র সেন প্রধান শিক্ষক থাকাকালীন বিদ্যালয়ে কিছু নতুন ব্যবস্থার প্রবর্তন করেছিলেন । ছাত্রসংখ্যা বৃদ্ধির উদ্দেণ্ডে তিনি বেশ কিছু সংখ্যক বয়স্ক ছাত্র নিয়েছিলেন । এই ছাত্ররা বিদ্যালয়ে অনেক ধরনের সমস্ত স্থষ্টি করে । মোহিতচন্দ্র বিদ্যালয় থেকে যাওয়ার পরই রবীন্দ্রনাথ বিদ্যালয়ে ভবিষ্যতে বয়স্ক ছাত্র আর না নেওয়ার সিদ্ধাস্ত নেন । এই সময় থেকেই বারো বছরের অনধিক বয়সের ছাত্র বিদ্যালয়ে ভতি না করার নিয়ম প্রবর্তিত হয় । নগেন্দ্র । নগেন্দ্রনারায়ণ রায়, বিদ্যালয়ের তৎকালীন শিক্ষক । পত্র ২৭ । “ক্ষ্যাপার ক্ষ্যাপামি আপনার কাছে সম্প্রতি কিছু অতিরিক্ত বলিয়া বোধ হইতেছে—" রবীন্দ্রনাথ ‘পাগল’ নামে যে প্রবন্ধ রচনা করেন ( বঙ্গদর্শন, শ্রাবণ ১৩১১, ‘বিচিত্র প্রবন্ধ গ্রন্থভুক্ত ), সে সম্বন্ধে মনোরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের পত্রে কোনো আলোচনার উত্তরে রবীন্দ্রনাথের এই পত্র । “সুখং বা যদি বা দু:খং...” ‘মহাভারত শাস্তিপর্বের ( ১৭৪.৩৯ ) অন্তর্গত শ্লোক । পত্র ২৮ । “মোহিতবাবু ত বোলপুরে যাচ্চেন না । দীনেশবাবুকে নিচ্চি ।” মোহিতচন্দ্র সেন ১৩১১ বঙ্গাব্দের আষাঢ়মাসে শারীরিক কারণে শাস্তিনিকেতন থেকে কলকাতা চলে আসেন । বর্তমান - গ্রন্থের ২২সংখ্যক পত্র-পরিচয়ে মোহিতচন্দ্র প্রসঙ্গ ভ্রষ্টব্য । মোহিতচত্রের পক্ষে নানাকারণে শান্তিনিকেতন বিদ্যালয়ে আর যোগ দেওয়া সম্ভব হয় নি, এই সময় রবীন্দ্রনাথকে পৰিচালন-দায়িত্ব নিতে ૨૯ 8