পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এই সময়েই বরিশালে প্রাদেশিক সম্মেলন উপলক্ষে প্রস্তাৰিত সাহিত্য সম্মেলনে রবীন্দ্রনাথ সভাপতি নির্বাচিত হন । বরিশালে যাবার পথে রবীন্দ্রনাথ আগরতলায় যান। ত্রিপুররাজ্যের বাজেট প্রণয়নে তৎকালে অমুস্থত মূলনীতি রবীন্দ্রনাথের সংগত মনে না হওয়ায়, তিনি লে-বিষয়ে র্তার স্বচিন্তিত মত মহারাজের কাছে লিখিতভাবে নিবেদন করেন, সেই নিবেদনের প্রাসঙ্গিক অংশ এখানে উত্ত্বেত হল— “রাজ্যের মধ্যে দুইটি স্বাভাবিক ভাগ আছে । একটি মহারাজের স্বকীয়, আর একটি রাষ্ট্রগত। উভয়কে জড়ীভূত করিয়া রাখিলে পরম্পর পরম্পরকে আঘাত করিতে থাকে— এই উপলক্ষ্যে প্রভূত অনিষ্ট উৎপন্ন হয়— এই দুই বিভাগের সন্ধিস্থলে নানাপ্রকার দুই চক্রান্তের অবকাশ থাকিয়া যায় । “যাহা মহারাজের স্বকীয়— অর্থাৎ সংসারবিভাগ, নিজ তহৰিল, পরিচরবর্গ এবং মহারাজের ভ্রমণাদি ব্যাপার যাহার অন্তর্গত— তাহার উপরে মন্ত্রী বা অার কাহারো হস্তক্ষেপ করিবার অধিকার দেওয়া চলে না । এইজন্ত মহারাজার স্বকীয় বিভাগকে মন্ত্রীর অধিকার হইতে, স্বতন্ত্র করির মন্ত্রীর প্রতি রাষ্ট্রবিভাগের সম্পূর্ণ ভারাপণ করা আৰশুক হইবে। ” বরিশালে বঙ্গীয় প্রাদেশিক সম্মেলন পুলিসের জুলুমে পরিত্যক্ত হওয়ায় প্রস্তাবিত সাহিত্য-সম্মেলন অকুষ্ঠিত হয় নি, রবীন্দ্রনাথ বরিশাল থেকে ফিরে আসেন । আলোচ্য পত্রে রবীন্দ্রনাথের চট্টগ্রামে যাওয়ার যে পরিকল্পনা ছিল ঐ সময় তা সম্ভবপর হয় নি ; ১৩১৪ বঙ্গাব্দের আষাঢ় মাসে তা কার্যকর হয় । ১. 'রবীন্দ্রনাথ ও ত্রিপুরা’ সংকলনগ্রন্থে ( প্রকাশ, জাখিন ১৩৬৮) সম্পূর্ণ পত্ৰখানি মুজিত । o § ર૭ છે