পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“যাহা হউক সভাপতি হইয়া শাস্তিরক্ষা করিতে পারিব কি না সন্দেহ ।” ১৯০৭ খৃস্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে স্বরাটে অতুষ্ঠিত জাতীয় কংগ্রেসের অধিবেশনে কংগ্রেসের বিপরীত মতাবলম্বী দু'দলের মধ্যে তুমুল বিশৃঙ্খলা ঘটে ও শেষ পর্যস্ত সম্মেলন পও হয়, তার পরও এই বিবাদ দীর্ঘপ্রসারী হয় । বর্তমান পত্রের আলোচ্য অংশে সেই ঘটনার ইঙ্গিত অাছে । এই সময়েই, ১২ ফাল্গুন ১৩১৪ বঙ্গকো, রবীন্দ্রনাথ রামেন্দ্রস্বন্দর ত্রিবেদীকে একটি চিঠিতে লিখছেন, “কনফারেন্স আমাকে সভাপতিপদে আঙ্গবান করার সংবাদ পাইবামাত্র গালিসংযুক্ত এত বেনামী পত্র পাইয়াছি যে, আমি কোন দলের লোক তাহ স্থির করা আমার পক্ষে কঠিন হইয়াছিল ।” “বিজয়বাবুর সংবাদ কি ? কিছু লিখিতেছেন ?” সাহিত্যিক বিজয়রত্ন মজুমদার ওকালতি ব্যবসায় উপলক্ষে এই সময় সম্বলপুরে ছিলেন । পত্র ৪৯ । “দ্বিজেন্দ্রবাবু আমাকে কিছু বলে নিয়েছেন আমিও তাকে কিছু বলে নিয়েছি—” “বঙ্গদর্শন’ পত্রিকার মাঘ ১৩১৪ সংখ্যায় দ্বিজেন্দ্রলাল রায় ‘কাব্যের সভোগ” শীর্ষক প্রবন্ধে রবীন্দ্ৰকাব্যের বিরূপ সমালোচনা করায়, ঐ একই সংখ্যায় রবীন্দ্রবাবুর বক্তব্য’ নামে রবীন্দ্রনাথের প্রত্যুত্তর প্রকাশিত হয় । পরে দ্বিজেন্দ্রলাল সাহিত্য’ পত্রিকায় জ্যৈষ্ঠ ১৩১৬ সংখ্যায় ‘কাৰ্যে নীতি’ প্রবন্ধে পুনরায় রীজ-বিরোধী সমালোচনা লেখেন, সম্ভবত বর্তমান পৰে বুৰীজনাৰ সেই প্রসঙ্গেই মন্তব্য করছেন । 3 е