পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করা যাইবে— এত খরচ করিয়া কৃষি শিখাইয়া শেষকালে জমি অভাবে সমস্ত ব্যর্থ করা ত যায় না। --” এই বৎসরেই, ১৯ পৌষ ১৩১৪ তারিখে শিলাইদহ থেকে রবীন্দ্রনাথ ঐশচন্দ্রকে লিখছেন— "এখানে জমির খবর লইয়া দেখিলাম কোথাও একত্র সংলগ্ন পঞ্চাশ বিঘা জমি পাওয়াও অসম্ভব ।... বাংলার এ অঞ্চলে কোথাও জমি পাইব না, ওখানেও যদি না পাওয়া যায় তবে ছেলেদের পক্ষে স্বাধীন রুষিব্যবসায় করা একেবারে অসম্ভব হইবে।” কয়েকদিন পর, ২ মাঘ ১৩১৪ তারিখে আবার লিখছেন— "চাষের জমি যা হয় হবে, গুমো’য় বাসের জমি অস্তত বিঘা দশ পনেরো একটু রমণীয় জায়গায় পাওয়া যায় কি না খবর নিয়ে । সেইসঙ্গে চাষের জমি ১০ • ০ বিঘা না হোক ২০ ০/৩০০ বিঘার চেষ্টা দেখা যাক— একটু উর্বরা দেখে জমি বেছে নেওয়া চাই ।” এ-বিষয়ে রবীন্দ্রনাথ তার শেষ চিঠিতে শ্ৰীশচন্দ্রকে ২৮ চৈত্র ১৩১৪ বঙ্গাব্দে জানাচ্ছেন— “জমির সম্বন্ধে আমি ক্রমশই হতাশ্বাস হইয়া পড়িতেছি । ছেলেরা ফিরিয়া আসিলে কোথায় যে কাজ ফাদিবে তাহা ত জানি না । , বাংলাদেশে কোনো স্বাস্থ্যকর জায়গায় জমি পাওয়া অসম্ভব বলিয়াই জানিয়াছি । অন্যত্র ততোধিক । যদি জমি না পাওয়া যায় তবে রথীকে আমাদের জমিদারীতে প্রজাদের উন্নতিসাধনের কাজে নিযুক্ত করিয়া দিব ।” উপযুক্ত কৃষিযোগ্য জমি সংগ্রহ করতে না পেরে শেষে রথীন্দ্রনাথকে স্বাধীন কৃষিব্যবসায়ে নিযুক্ত করার আশা রবীন্দ্রনাথ বিসর্জন দিয়েছিলেন । রথীন্দ্রনাথ দেশে ফিরলে রবীন্দ্রনাথ তাকে শিলাইদহেই কৰ্মক্ষেত্র । ՀԵՏ