পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এই প্রসঙ্গে লেখেন— “বোলপুরে দুগ্ধের বড়ই টানাটানি। এখান হইতে একটা গাভী ও একটা মহিব সেখানকার ছাত্রদের জন্য কিনিয়া লইয়া যাইবার চেষ্টা করিতেছি। পথের খরচ অনেক লাগিবে— প্রায় প্রত্যেকটা জন্তুটাতে কুড়ি টাকা— কিন্তু সেও স্বীকার করিতে হইতেছে— বোলপুরে বহু চেষ্টায় পয়স্বিনী গাভী জুটাইতে পারি নাই। আশ্রম আছে অথচ ধেমুর অভাব ইহা অসঙ্গত।” চেষ্টা সত্ত্বেও বিদ্যালয়ের গো-শালার পরিকল্পনা সফল হয় নি । সেজন্য বন্ধুপুত্র সন্তোষচন্দ্র যখন আমেরিকা থেকে গো-পালন বিষ্ঠা শিখে দেশে ফিরলেন, তখন রবীন্দ্রনাথ তাকে আশ্রম-বিদ্যালয়ের কাছেই গো-শালা তৈরি করে স্বাধীনভাবে ব্যবসায়ে নিযুক্ত হতে অনুপ্রাণিত করেছিলেন । রবীন্দ্রনাথের অাশা ছিল, এই ব্যবসায়ে সন্তোষচন্দ্র যথেষ্ট অর্থ উপার্জন করে সচ্ছলভাবে পরিবার প্রতিপালন করতে পারবেন, অন্ত দিকে বিদ্যালয়ের দুগ্ধ-সমস্তারও সমাধান হবে। সন্তোষচন্দ্রের গো-শালা সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথ এতদুর উৎসাহিত হয়েছিলেন যে, তার জন্য এলাহাবাদ থেকে উৎকৃষ্ট জাতের ছাগল আনাবার চেষ্টাও করেছিলেন ।* সন্তোষচন্দ্র কিন্তু এই ব্যবসায়ে কৃতকার্য হতে পারেন নি, তিনি অবশেষে বিদ্যালয়ের কর্মে যোগ দেন। বোলপুরের অনুর্বর জমিতে যথেষ্ট পরিমাণে এবং সুলভে পশুখাদ্য উৎপাদনের অসামর্থ্যই সাফল্যের প্রধান অন্তরায় হয়ে দাড়িয়েছিল । । পত্র ৬৩। “হিন্দুস্থান ইন্সারেন্স কোম্পানির অবস্থা খুব ভাল বলিয়াই ১. ভ্রষ্টব্য, চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়কে লেখা রবীন্দ্রনাথের ১৩-সংখ্যক চিঠি, 'দেশ' ২ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৫, বর্ষ ৫২, সংখ্যা ১৪ । ՀԵ՞Տ .