পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বৰোধচন্দ্র মজুমদার (১৮৭৮ ? - ১৯৩• ) রবীন্দ্রনাথের ধেীৰনকালের অন্তরঙ্গ বন্ধু ঐশচন্দ্র মজুমদারের জ্ঞাতিভ্রাতা । স্থবোধচন্দ্র শান্তিনিকেতন বিদ্যালয়ে শিক্ষকরূপে যোগ দেন আষাঢ় ১৩০৯ বঙ্গাৰে ৷ শ্ৰীশচন্দ্রের স্থত্রেই রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে স্থবোধচন্দ্রের পরিচয় ঘটে, এরকম অনুমান করা যায় । তিনি প্রধান ত ইংরেজি ও ইতিহাস বিষয়ে শিক্ষকতা করতেন । রবীন্দ্রনাথ যখন পীড়িত মধ্যম কঙ্কা রেণুকার স্বাস্থ্যোঙ্কারের আশায় তাকে নিয়ে হাজারিবাগে ছিলেন ( ১৯•৩ খৃস্টাৰের প্রথম দিকে ), সেইসময় স্থবোধচন্দ্র শান্তিনিকেতন বিদ্যালয় ত্যাগ করে দিল্লীতে নৰপ্রতিষ্ঠিত বেঙ্গলী হাইস্কুলে প্রধান শিক্ষকের পদ গ্রহণ করেন । কিন্তু অল্পকালের মধ্যেই রবীন্দ্রনাথ তাকে আবার আশ্রম বিদ্যালয়ে ফিরিয়ে আনেন । অক্টোবর ? ১৯•৩ খৃস্টাৰে ( আশ্বিন ১৩১- ) রবীন্দ্রনাথ অবলা বস্তুকে একটি চিঠিতে লিখছেন, “ইংরাজি শিক্ষার স্ববিধার জন্ত আমি সুবোধকে আবার দিল্পি হইতে টানিয়া আনিয়াছি । স্ববোধ ইংরাজি ভাল পড়াহত । দিল্লিতে সে হেডমাস্টার হুইয়া আমাকে বড় ৰিপদে ফেলিয়াছিল । আমি তাহাকে জবরদস্তি করিয়া এখানে ফিরাহুয়াছি। " অম্বুমান করা যায়, ১৩১১ বঙ্গাব্দের পূজাবকাশের পর স্থবোধচন্দ্র আৰ্যর শাভিনিকেতন বিদ্যালয়ে যোগ দেন । ১৩১৪ বঙ্গাৰোৱ ৰৈশাখ মাসে রবীন্দ্রনাথ তাকে শান্তিনিকেতন থেকে শিলাইদহে নিয়ে গিয়ে তাদের জমিদারির সদর কাছারির অ৷াসিস্ট্যাণ্ট ম্যানেজার পদে নিয়োগ করেন । ৩ বৈশাখ ১৩১৪, রবীন্দ্রনাথ শ্ৰীশচন্দ্র মজুমদারকে একটি চিঠিতে লিখছেন, “এই বৎসর হইতে সেখানে [ শিলাইদহে ] স্থবোধচন্দ্ৰেৰ রাজত্ব ।" কিন্তু শিলাইদহের কাজেও স্ববোধচত্র বেশিদিন স্থায়ী হতে পারেন নি। সেই ৰছরই পৌষ মাসে শিলাইদহে এক মর্মাভিক দুর্ঘটনায় তার কস্তা লতিকার ( লতু ) মৃত্যু ঘটে। এই মৃত্যুশোকে 。°》●