পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ( ২৩ জুন ১৮৬৭ - ১৩ জানুয়ারি ১৯৫৯ ) সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের প্রথম পরিচয় তার এক নিকট-আত্মীয়, জোড়াসাকো সেরেস্তার কর্মচারী যদুনাথ চট্টোপাধ্যায়ের উদ্যোগে । হরিচরণ তখন উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়ে সেকালের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র । যদুনাথের অহরোধক্রমে রবীন্দ্রনাথ এইসময় তাকে লেখাপড়ার জন্ত কিছুকাল আর্থিক সহায়তা করেন । ১৩০৯ বঙ্গাব্দের শ্রাবণ মাসে রবীন্দ্রনাথ হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে যদুনাথের অনুরোধে পতিসর কাছারিতে জমিদারি সেরেস্তার কাজে নিযুক্ত করেন । সেই বছর ভাদ্র মাসেই রবীন্দ্রনাথ তার নবপ্রতিষ্ঠিত শান্তিনিকেতন ব্রহ্মচর্যাশ্রম বিদ্যালয়ে সংস্কৃত ভাষার শিক্ষকরূপে পতিসর থেকে হরিচরণকে বোলপুরে নিয়ে আসেন । রবীন্দ্রনাথের নির্দেশক্রমে হরিচরণ বিদ্যালয়ের ছাত্রদের উপযোগ ‘সংস্কৃত প্রবেশ’ ( ১-৩ ভাগ ) রচনা করেন । এই পুস্তকের প্রথম ভাগ প্রকাশকালে ( ১৯৭৪ খৃ ) সম্পাদকরূপে রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন— ..“বোলপুর ব্রহ্মচৰ্য্যাশ্রম স্থাপিত হইলে পর, সেখানকার ছেলেম্বের যখন সংস্কৃতশিক্ষার স্বপ্রণালী অমুসরণ আবস্তক বোধ করিলাম, তখন আদর্শস্বরূপ সংস্কৃত প্রবেশ কিয়দংশ লিথিয়া, ব্রহ্মচৰ্য্যাশ্রমের স্বযোগ্য অধ্যাপক ঐযুক্ত হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়ের হস্তে উহা শেষ করিবার জন্ত সমর্পণ করিয়া দিলাম।” 'সংস্কৃত প্রবেশ’ পুস্তক রচনাকালেই রবীন্দ্রনাথ তাকে বাংলা ভাষার একটি অভিধান রচনায় প্রবৃত্ত হতে উৎসাহিত করেন । ১৩১২ বঙ্গাস্ব থেকে হরিচরণ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা কর্মের অবসরকালে ‘বঙ্গীয় শব্দকোষ’ প্রণয়ন আরম্ভ করেন । এই কাজ কিছুদূর অগ্রসর হওয়ার পর আর্থিক অসংগতির কারণে হরিচরণকে শাস্তিনিকেতন বিদ্যালয়ের শিক্ষকতার কাজ ছেড়ে, ১৩১৮ বঙ্গাব্দের আধাঢ় মাসে কলকাতার একটি কলেজে NGCy>