পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুকলাল ঘোষ ‘সহায়শ্রেণীভুক্ত কর্মীরূপে শিৰনাথ শাৰী -প্রতিষ্ঠিত কলকাতার সাধনাশ্রমে ( প্রতিষ্ঠা ১৮৯২ খৃস্টাশ্ব ) ১৮৯৪ খৃস্টাৰে যোগ দেন ও পরে ‘সংকল্পাধীন পরিচারকরূপে আশ্রমের কাজে আত্মনিয়োগ করেন। তিনি বীরভূম জেলার নলহাটির অধিবাসী ছিলেন, এরূপ জানা যায় ৮৯৯ খৃস্টাব্দে শিবনাথ শাস্ত্রীর কনিষ্ঠ কন্যা স্বহাসিনী দেবীর সঙ্গে তার বিবাহ হয় । কুঞ্জলাল ঘোষ ১৩০৯ বঙ্গাব্দে, আনুমানিক কাতিক মাসের শেষে অথবা অগ্রহায়ণের আরম্ভে, শাস্তিনিকেতন ব্রহ্মচর্যাশ্রম বিদ্যালয়ের কাজে যোগ দেন । বিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রধান শিক্ষক মনোরকন বন্দ্যোপাধ্যায়কে ১৯৯২ নভেম্বর রবীন্দ্রনাথ একটি চিঠিতে জানাচ্ছেন, "কুরবাবু শীঘ্রই বোলপুরে যাইবেন । আশা করিতেছি তাহার নিকট হইতে নানা বিষয়ে সাহায্য পাইবেন । অধ্যাপনাকার্য্যেও তিনি আপনাদের সহায় হইতে পারিবেন । আন্তরিক শ্রদ্ধার সহিত তিনি এই কার্য্যে ব্ৰতী হইতে উদ্যত হইয়াছেন । ইহার সম্বন্ধে যত লোকের নিকট হইতে সন্ধান লইয়াছি সকলেই একবাকো ইহার প্রশংসা করিয়াছেন । , , , বিদ্যালয়ের কত্ত্বত্বভার অামি আপনাদের তিনজনের উপর দিলাম— আপনি জগদানন্দ ও স্ববোধ । এই অধ্যক্ষসমিতির সভাপতি আপনি ও কাৰ্য্য-সম্পাদক কুপ্রবাবু । হিসাবপত্র তিনি আপনাদের দ্বারা পাশ করাইয়া লইবেন এবং সকল কাজেই আপনাদের নির্দেশমত চলিবেন। . ." মনোরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় ও স্ববোধচন্দ্র মজুমদার বিদ্যালয় ত্যাগ করে চলে যাওয়ার পর রবীন্দ্রনাথ যখন পীড়িত৷ মধ্যম কঙ্কার স্বাস্থ্যোন্নতির আশায় শান্তিনিকেতন থেকে দূরে থাকতে বাধ্য হয়েছিলেন, লেই পর্বে, বিদ্যালয়-পরিচালন-দায়িত্ব অনেকাংশে কুঞ্চলালের উপর অৰ্পণ করা হয় । অধ্যাপনার কাজেও তিনি যুক্ত ছিলেন । \98 ○