আপনার প্রশ্নের উত্তর মেলা সহজ হইবে।
এখানে ব্যবস্থাবিভাগের কাজ এখন ত খালি নাই।
চিঠি সংক্ষেপে সারিতে হইল। ইতি ২৭ ফাল্গুন ১৩২০।
শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৪৩
[ডিসেম্বর ১৯১৮]
ওঁ
বিনয়সম্ভাষণপূর্ব্বক নিবেদন—
আজ আপনার পত্রখানি পাইয়া আমার মনের একটি ভার নামিয়া গেল। আমার প্রতি আপনার চিত্ত প্রতিকূল এতদিন এই কথাই মনে জানিতাম। এরূপ বিশ্বাস কেবল যে পীড়াজনক তাহা নহে ইহা অনিষ্টজনক। আমাদের পরস্পরের মধ্যে এই সম্বন্ধ বিকার হইতে আপনি মুক্তিলাভের যে চেষ্টা করিয়াছেন তাহাতে আমাকেও মুক্তি দিয়াছেন— সেজন্য আমি আপনার কাছে কৃতজ্ঞ রহিলাম আপনার সহিত পরিচয়ের আরম্ভ হইতেই আমি সর্বপ্রযত্নে আপনার সহিত সৌহৃদ্য স্থাপনেরই চেষ্টা করিয়াছি কিন্তু কেমন করিয়া, যে বিপরীত ফল ঘটিয়াছিল তাহা আমার দুর্গ্রহই জানে— আমি এই জানি আমি কখনই স্বেচ্ছাপূর্বক আপনার ক্ষতি বা বিরুদ্ধতা করি নাই। কিন্তু এ সকল কথা বিচার করিবার আর প্রয়োজন নাই। জীবনের অনেক গ্লানি একে একে মুছিবার আছে, অথচ সময় আছে অল্প— এই যে একটা দাগ মন হইতে মিটিল সে বড় কম কথা নহে।
কয়েকদিন হইল আপনার নূতন বইখানি পাইয়াছি। কিছুকাল
৪৬