পাতা:চিঠিপত্র (দ্বাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> * * ২৬ আগষ্ট ১৯৩• শ্রদ্ধাস্পদেষু বাইরের সকল কাজের উপরে ও একটা জিনিষ আছে যেটা সাত্মাব সাধনা । রাষ্টিক আর্থিক নানা গোলেমালে যখন মনটা আণবিল হয়ে ওঠে তখন তাকে স্পষ্ট দেখতে পাইনে বলেই বি , জার কমে যায় । আমার মধ্যে সে বিপদ আছে সেই জন্তোই আসল জিনিষকে অঁাকড়ে ধরতে চাই । কেউবা আমাকে উপহাস করে, কেউবা আমার উপব রাগ করে, তাদের নিজের পথেই আমাকে টেনে নিতে চায় । কিন্তু কোথা থেকে জানিনে আমি এসেচি এই পৃথিবীব তীর্থে, আমার পথ আমার লীর্থদের হার বেদীৰ কাছে । মানুষের দেবতাকে স্বীকার ক’রে এবং প্রণাম ক’লে যাব আমার জীবনদেবতা আমাকে সহ মন্ত্র দিয়েচেন । যখন আমি সেই দেবতার নিৰ্ম্মাল্য ললাটে পরে যাই তখন সব জাতের লোকই আমাকে ডেকে আসন দেয়, আমার কথা মন দিয়ে শোনে, যখন ভারতবষীয়ের মুখোষ পরে দাড়াই তখন বাধা বিস্তর । যখন আমাকে এরা মানুষ রূপে দেখে তখনি এরা আমাকে ভারতবর্ষীয়রূপেই শ্রদ্ধা করে, যখন নিছক ভারতবর্ষীয়রূপে দেখা দিতে চাই তখন এর! আমাকে মানুষরূপে সমাদর করতে পারে না । আমার স্বধৰ্ম্ম পালন করতে গিয়ে আমার চলবার পথ ভুল বোঝার দ্বারা বন্ধুর হয়ে ওঠে । আমার পৃথিবীর মেয়াদ সঙ্কীর্ণ হয়ে > ○む