পাতা:চিঠিপত্র (দ্বাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হোলো— এতকাল আমার ধৈর্যাচুতি হয় নি। নিজেদের দেশের অতি দুৰ্ব্বহ মূঢ়তার বোঝার দিকে তাকিয়ে নিজের ভাগ্যকেই বেশি করে দোষ দিয়েছি । অতি সামান্ত শক্তি নিয়ে অতি সামান্য প্রতিকারের চেষ্টাও করেছি কিন্তু জীর্ণ অাশার রথ য ৩ মাইল চলেছে তার চেয়ে বেশি সংখ্যার দড়ি ছি ড়েছে, চাক ভেঙেচে । দেশের হতভাগাদের তুঃখের দিকে তাকিয়ে সমস্ত অভিমান বিসর্জন দিয়েছি । কর্তৃপক্ষের কাছে সাহায্য চেয়েচি, তারা বাহবা ও দিয়েচেন, যেটুকু ভিক্ষে দিয়েচেন তাতে জা • ময় পেট ভরে না। সব চেয়ে দুঃখ এবং লজ্জার কথা এ ত যে তাদের প্রসাদলালিত আমাদের স্বদেশী জীবরাই সবচেয়ে বাধা দিয়েছে । যে দেশ পরের কর্তৃত্বে চালিত সেই দেশে সবচেয়ে গুরুতর ব্যাধি হোলো এই--- সে সব জায়গায় দেশের লোকের মনে যে ঈর্ষা, যে ক্ষুদ্রতা, যে স্বদেশবিরুদ্ধতার কলুষ জন্মায় তার মতো বিষ নেই । যাই হোক এ দেশের “এনৰ্ম্মাস ডিফিকল্টিজে”র কথা বইয়ে পড়েছিলুম, কানে শুনেছিলুম, কিন্তু সেই ডিফিকল্টিজ, অতিক্রমের চেহারা চোখে দেখ লুম । বিস্তারিত বিবরণ লেখবার সময় নেই। অন্যদের যে সব চিঠি লিখেচি সেই সমস্ত সংগ্ৰহ করে নিলে অনেক কথা জানতে পারবেন। এ সমস্ত সংবাদ সবাইকে জানানো চাই অতএব ইংরেজিতে তজ্জমা করে মডারন রিভিয়ুতে ছাপাবেন । শাস্তিনিকেতনে সুরেন করের কাছে কিছু চিঠি পাবেন, Y 8 S