পাতা:চিঠিপত্র (দ্বাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করবার ব্যবস্থা করবেন। আত্রাইয়ের তীরবত্তী যে জায়গাটা বন্যায় একান্ত পীড়িত তারই সঙ্গে বিশ্বভারতীর ঘনিষ্ঠ যোগ । সেইখানকার আল্লকুলা বিশ্বভারতীর মুখ্য অবলম্বন, নোবেল প্রাইজ ফণ্ডের স্বদ সেইখান থেকে আসে । আমরা নিজের চেষ্টায় যে অল্প পরিমাণ টাক) সংগ্রহ করতে পারব তাকে বিক্ষিপ্ত করে না দিয়ে এইখানেই প্রয়োগ করা হবে এই স্থির হয়েচে । আপনি এখানে এলে এ সম্বন্ধে আপনার সঙ্গে পরামর্শ করব । আমার শরীর এখন কোন প্রকার কাজে বই যোগ্য নয়— এমন কি লেখাপড়াতে ও মন দেওয়া কষ্টসাধ্য হয়েচে । তবু অবস্থ। বিশেষে নিক্রিয় হয়ে থাক। অস স্তব হয়ে পড়ে । মনটা খুড়িয়ে খুড়িয়ে কাজ করে । চারিদিকেব দাবীর মাঝখানে থেকে আত্মরক্ষা করা তুঃসাধ্য— দূরে কোথা ও গিয়ে বান প্রস্থা আশ্রয়ই অামার পক্ষে বিহিত । কিন্তু কিছু পরিমাণে কাজের দায়িত্ব অনিবাৰ্য্যভাবে আমাকে অঁাকড়ে আছে বলেই আমার মুখে বিশ্রামের দাবী জোর পায় না । আমার পক্ষে বিশ্রাম একটা নঙৰ্থক শূন্যতামাত্র নয়, বিশ্রাম হচ্চে জীবনের নূতন পর্য্যায়ের ভূমিকা— এটাকে নষ্ট করায় হয়ত আন্তরিক অপরাধ আছে এই জন্যেই ঘূর্ণির মধ্যে পড়ে মনট এত বেশি উৎকষ্ঠিত হয়ে থাকে । ইতি ১৩ ভাদ্র ১৩৩৮ আপনাদের ঐরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর )● ●