পাতা:চিঠিপত্র (দ্বাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পবিবৰ্ত্তন স্বতই ঘটে আসচে। এর প্রভাব পুরুষের উপর পড়তেও বাধ্য । তারা অনেকেই গার্হস্থ্যের দায়িত্ব বন্ধন থেকে মুক্ত, অপর পক্ষে বহুসংখ্যক মেয়েও তাই । এরা উভয়েই স্বাতন্ত্রা রক্ষা করতে চায় অতএব এদেব বিবাহ ঠিক কোন নীতিব উপর প্রতিষ্ঠিত হতে পারে এই নিয়ে সে দেশে আন্দোলনের সীমা নেই । এর সঙ্গে যোগ দিয়েচে বিজ্ঞান— বিশেষ ত মনোবিজ্ঞান । স্ত্রীপুরুষের প্রকৃতি পর্যালোচনায় সমস্ত আব্রু সে খসিয়ে দিয়েচে । উপন্যাস নাটক রঙ্গভূমি সব জায়গাতেই মানবপ্রকৃতি আজ অনাবৃত । মানব ইতিহাসের আদি যুগে দেহ ছিল নগ্ন অ’ জ মানুষের মনের বইল না বস্ত্র । এমন সময় যুবোপে এল সৰ্ব্বনেশে এক যুদ্ধ। অতিকায় মৃ তু এসে মানুষের মনকে দিয়েছে নিলজ নিৰ্ম্মম করে । সেই কয় বংসর বহুসংখ্যক মানুষ এমন এক অনিত্যতার মধ্যে দিনযাপন করেছে যেখানে সে আজ অাছে কাল নেই । মৃত্যু বা পাবটা যদিও চির সত্য তবু মানুষ যখন সংসারযাত্রা কবে তখন মৃতু যেন নেই এইভাবেই সংসারযাত্রা নিসর্বাহ করে । মৃত্যুকে কাছে দেখা সত্ত্বেও মৃত্যুকে যদি ভুলে না থাকতে পারে তবে কোনো বিশ্বাস কোনো ব্যবস্থার উপরেই সে বাসা বাধতে পারে না । কিন্তু যুরোপে এ বৎসর ধরে এত বিরাটরূপেই মৃত্যুকে সামনে রাখতে হয়েছে যে সংসারের সমস্ত স্থিতিপ্রবণ নীতির পরেই তার আস্থা গেছে শিথিল হয়ে । এই সমস্ত কারণ জড়িয়ে মানুষ }\e ) Տ Հ ծ ծ