পাতা:চিঠিপত্র (দ্বাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানবসংসারে আমার কাজ আছে,— শুধু মেঘমল্লারে মেঘের ডাকের জবাব দিয়ে চলবে না, মানব-ইতিহাসের যে সমস্ত মেঘমন্দ্র প্রশ্নাবলী আছে তারও উত্তর ভাবতে হবে । তাই অম্বুবাচীৰ আসর পরিত্যাগ করে বেরিয়ে আসতে হল। পৃথিবীতে দুটি ধর্মসম্প্রদায় আছে অন্য সমস্ত ধর্মমতের সঙ্গে যাদের বিরুদ্ধতা অত্যুগ্র :– সে হচ্চে খৃষ্টান আর মুসলমানধর্ম। তারা নিজের ধর্মকে পালন করেই সন্তুষ্ট নয়, অন্য ধমকে ংহার করতে উদ্যত। এইজন্তে তাদের ধর্ম গ্রহণ করা ছাড়া তাদের সঙ্গে মেলবার অন্য কোনো উপায় নেই । খৃষ্টানধর্মাবলম্বীদের সম্বন্ধে একটি সুবিধার কথা এই যে, তারা আধুনিক যুগের বাহন ; তাদের মন মধ্যযুগের গণ্ডীর মধ্যে আবদ্ধ নয়। ধর্মমত একান্তভাবে তাদের সমস্ত জীবনকে পরিবেষ্টিত করে নেই। এইজন্তে ধৰ্ম্মাবলম্বীদেরকে তারা ধর্মের বেড়ার দ্বারা সম্পূর্ণ বাধা দেয় না। যুরোপীয় আর খৃষ্টান এই দুটো শব্দ একাথক নয় । “য়ুরোপীয় বৌদ্ধ” বা “য়ুরোপীয় মুসলমান” শব্দের মধ্যে স্বতোবিরুদ্ধতা নেই। কিন্তু ধর্মের নামে যে-জাতির নামকরণ ধর্মমতেই তাদের মুখ্য পরিচয় । “মুসলমান বৌদ্ধ” বা “মুসলমান খৃষ্টান” শব্দ স্বতই অসম্ভব। অপরপক্ষে হিন্দু জাতিও এক হিসাবে মুসলমানদেরই মত। অর্থাৎ তারা ধর্মের প্রাকারে সম্পূর্ণ পরিবেষ্টিত । বাহ প্রভেদটা হচ্চে এই যে অন্ত ধর্মের বিরুদ্ধতা তাদের পক্ষে সকৰ্মক নয়,— অহিন্দু *R3 (Così Toof oto non-violent non-cooperation। হিন্দুর ধর্ম মুখ্যভাবে জন্মগত ও আচারমূলক ՀԵ s