পাতা:চিঠিপত্র (দ্বাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাস্তায় দাড়িয়েছে ; আমিও তাকে হেরাইট পেপরের অধিকার দেব বলে মন স্থির করেছি । ভিড়ের লোকের মন পাবার জন্যে খ্যাতির হাটে আনাগোনা করতে আর উৎসাহ নেই । তোমরা এই শুভকামনা করো সম্পূর্ণ ভারবিহীন হোক অামার বিদায়কালের যাত্রা। যে উদার আলস্য কবিদের মূলধন আমি তাই নিয়েই জন্মেছিলুম—আমার যানবাহনটা ছিল দায়বিহীন বাণী বহন করবার জন্তে, তাতে ফাক ছিল ঢের,— কপালের দোষে যাত্রা আরম্ভের মুখেই লাফ দিয়ে উঠে পড়ল গুরুভার কত্তব্যের দল বিশ্বহিতের দোহাই দিয়ে, ফাক গেছে ভরে, ঠেসাঠেসিতে বাণী পড়েছেন সস্কুচিত হয়ে । অনেকদিন এমনি বোঝা টেনে কাটল এখন আর নয়—পুরোনো কলমটাকে ও জেটিসন করবার ইচ্ছে । ঘাটশিলায় গিয়ে রামানন্দবাবুর শরীর আশা করি সুস্থ হয়েছে। অনেকদিন পূৰ্ব্বে ও অঞ্চলে গিয়েছিলুম—একটি ছবি মনে আছে, ছোটো বড়ো নানা উপলে বিভক্ত সুবর্ণরেখা নদী বয়ে চলেছে, সন্ধ্যা হয়ে এসেছে, অস্তগামী সূর্য্যের মান ধূসর আলোয় একদল বক স্তব্ধ বসে আছে নদীবক্ষের মধ্যে একটি প্রশস্ত শিলাখণ্ডের উপরে-—প্রাণবান করেছে তারা সন্ধ্যার শাস্তিকে । সেই ধ্যানী বকের দল এখনো অাছে, না সৰ্ব্ব জীবশক্র মানুষের সমাগমে পালিয়ে গেছে জানিনে—যদি গিয়ে থাকে তাহলে ক্ষতি হয়েছে । তোমরা অামার বিজয়ার আশীৰ্ব্বাদ গ্রহণ করে। আর ○ > ?