পাতা:চিঠিপত্র (দ্বাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উৎসাহ হয় না। তুমি জান, আমাদের দেশের সাধারণ লোকে বহু শতাব্দী ধরে কনিষ্ঠ অধিকারী বলে গণ্য, এইজস্ত শ্রেষ্ঠ অধিকারীরা মন ভুলিয়ে তাদের সদগতিসাধন করা কৰ্ত্তব্য বলে মনে করে এসেচে । তাতে তাদের মন ত গেছে মারা, তারপরে তাদের সদগতিও ঘটল না । বৰ্ত্তমান যুগের জননায়ক এসেও তাদের সেই মন ভোলাবার উদ্যোগে প্রবৃত্ত হলেন । এটা হ’ল কিরকম ? না, যে পাখীর পা আছে শিকল দিয়ে দাড়ে বাধা, তার ডানায় শিকল বেঁধে তাকে টান মেরে মুক্তি দেবার চেষ্টা—তার ফল হচ্চে এই, পাও যায় ভেঙে, ডানাও যায় ছিড়ে । যারা অস্তরে অস্তরে শিকলদেবতার উপাসক, তারাই নূতন শিকলের সহায়তায় পুরাতন শিকলকে ভাঙতে চেষ্টা করে। তুমি ত জানই এ আমি কিছুতেই সইতে পারি নে। আমি বলতে চেষ্টা করলুম, আমি সত্যকে মানতে রাজি আছি কিন্তু মহাত্মাজিকে না। তাতে লোকে খুসি হল না —এই ত গেল পয়লা নম্বর। তার পরে দেখলুম সমস্ত ব্যাপারের মধ্যে ঘোরতর একটা পাশ্চাত্য বিদ্বেষ। সাধারণ পলিটিকসের ক্ষেত্রে রিপুর স্টীমেই স্বাদেশিকতা জগন্নাথের রথযাত্রা ঘট্‌চে—অতএব যদি শাক্ত পোলিটিশনের দল খড়গ খপর নিয়ে পোলিটিকাল কালিঘাটে পশ্চিম যমদেবতার বাহন মহিষটাকে বলি দেবার সঙ্কল্পে ঢাক ঢোল বাজাত আমি তাতে যোগ দিতুম না বটে ; ৩২৬ গ