পাতা:চিঠিপত্র (দ্বাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিন্তু আশাভঙ্গের তুঃখ পেতুম না। কিন্তু আমার মনে এবার এই একটা আনন্দ গৰ্ব্ব জেগেছিল যে আমাদের দেশের পলিটিক্স দ্বেষহিংসার উপর প্রতিষ্ঠিত নয় এইটেই আমরা পৃথিবীকে দেখাতে পারব। কিন্তু দ্বেষহিংসাকে শরীরের ক্ষেত্র থেকে সরিয়ে নিয়ে তাকে মনের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত করলে তাতে যে কম অকল্যাণ ঘটে তা বলতে পারি নে ! এই কয় বৎসর ভারতবর্ষের এক সভাতল থেকে অার এক সভাতলে কেবলি জালিয়ানবাগের অত্যাচাব ও খিলাফতের অন্যায় ঘোষণা করে’ সেই অভিযোগের দ্বাবাই নন-কোঅপরেশন নীতিকে প্রবল করার চেষ্টা করা হযেচে । ভারতের স্বাতন্ত্র্য যে ভারতবাসীর মনুষ্যত্বের গৌরবসাধনের জন্তোই এ কথার উপর বিশেষ জোর দেখা গেল না—কেবল লোকের মনে পুনঃ পুনঃ আবৃত্তি দ্বারা পরকৃত বিশেষ অন্যায়ের স্মৃতি গভীর করে দেগে দেগে দেওয়া হতে লাগল। অথচ সেই সঙ্গে মুখে বলা হতে লাগ ল যে, খবরদার মনে যেন হিংস্র তা না আসে– নাকের মধ্যে ঠেসে ঠেসে নস্যি গুজে দিয়ে বলা হতে লাগল, খবরদার, হাচি যেন কোন মতেই না আসে । দুটো চারটে বড় বড় হাচি যখন সশব্দে বেরিয়ে পড়ল তখন উপদেশকেরা আশ্চৰ্য্য হয়ে হাত উলটে বললেন, “না, এদের দ্বারা নন-কোঅপরেশনের উচ্চ নীতি কিছুতেই পালিত হতে পারে না— কেননা, এদের প্রচণ্ড হাচির রোগ আছে।” যাদের নস্ত দেওয়া রোগ আছে, নাসিকার সংযমশীলতার সম্বন্ধে তাদের ७२० घ