পাতা:চিঠিপত্র (দ্বাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমনি তার কত ছোট ছোট কথা বড় হয়ে উঠে আমাদের মনের সামনে দেখা দিলে। ক্লাসে যখন সে পড়ত, তখন সেই পড়ার সময়কার বিশেষ দিনের বিশেষ এক-একটি সামান্য ঘটনা, বিশেষ কথায় তার হাসি, বিশেষ প্রশ্নের উত্তরে তার উৎসাহ, এসব কথা এতদিন বিশেষভাবে মনে ছিল না, আজ মনে পড়ে গেল । তারপরে ছেলেদের আনন্দবাজারে যে-সব কৌতুকের উপকরণ সে জড় করেছিল, সে সমস্ত আজ বড় হয়ে মনে পড়েচে । বড়লোকের বড়কীত্তি আমাদের স্মরণক্ষেত্রে আপনি জেগে উঠে । সেখানে কীৰ্ত্তিটাই নিজের মূল্যে নিজেকে প্রকাশ করে । কিন্তু এই বালকের যে-সব কথা তামাদের মনে পড় চে, তাদের ত নিজের কোনো নিরপেক্ষ মূল্য নেই। তারা যে বড় হয়ে উঠেছে সে কেবল একটি মূল সত্যের যোগে । সেই সত্যটি হচ্চে সেই বালক স্বয়ং। পূর্বেই বলেচি সত্য ভূম। অর্থাং বাইরের মাপে, কোনো প্রয়োজনের পরিমাণে তার মূল্য নয়—তার মূল্য আপনাতেই। সেই মূল্যেই তার ছোটও ছোট নয়, তার সামান্ত চিহ্নও তুচ্ছ নয়—এই কথাটি ধরা পড়ে প্রেমের কাছে । তোমাদের সঙ্গে সে যে হেসেছিল, খেলেছিল, একসঙ্গে পড়েছিল, একি কম কথা । তার সেই হাসি খেলা, তোমাদের সঙ্গে তার সেই পড়াশোনা, মানুষের চিরউৎসারিত সৌহার্দ্যধারারই অঙ্গ, সৃষ্টির মধ্যে যে অমৃত আছে, সেই অমৃতেরই অংশ । আমাদের এখানে তোমাদের যে প্রাণপ্রবাহ, যে צסיס\