পাতা:চিঠিপত্র (দ্বাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আন্তরিক ভাবের এবং তাহার পরিচায়ক বাহ্য ব্যবহারের কোন পরিবর্তন হয় নাই । তবে, যে, সাহিত্যিক সম্পর্ক ছেদন করিলাম, তাহার তু-একটা কারণ আগেই লিখিয়াছি । অামি আপনার নিকট এত প্রকারে ঋণী যে, সে-সব ঋণ কোন কালেই শোধ হইবে না । শোধ হউক, এ ইচ্ছাও অামার নাই ; ঋণীই তামি থাকিতে চাই । আপনি আমার পরলোক ও ইহলোকের সন্তানদিগকে স্নেহ করিয়াছেন ও করেন, এই ঋণটি আমার হৃদয়ের গোপন সম্পত্তি, তামি বিশ্বাস করি, খুতুর বিরুদ্ধে আপনি অনেক কথা শুনিয়া থাকিলে ৫, এবং যদি তাহার সত্য অপরাধ থাকে তাহা সত্ত্বে ও আপনি তা তাকে ও স্নেহ করিবেন। “কোনো অপরাধ না করে ও” আপনাকে “তুঃখ পেতে” হয়, ইহা সত্য কথা । কিন্তু আপনার যাহারা বন্ধু তাহাতে র্তাহ দের দোষ তাছে কিনা, জানি না। আপনি আমাকে বন্ধু মনে করেন, এই সম্মান ও আনন্দ আমি পাইয়াছি বলিয়া আমার কথাই কেবল বলিতে পারি। আমার ভুল হইতে পারে, কিন্তু আমার মনে হয়, কবিঋষিরূপে আপনি অসাধারণ মানবচরিত্রজ্ঞ হইলেও লৌকিক ব্যবহারে , আপনি কোন কোন মানুষকে চিনিতে পারেন না, এবং তাহদের মৎলব বুঝিতে পারেন না ; কোন কোন স্থলে সকল পক্ষের কথা শুনিয়া জানিয়া একটা মত বা সিদ্ধান্তে উপস্থিত হন না, মনে মনে একতরফা ডিক্ৰী দেন । এইরূপ সব কারণে এমন অবস্থা দাড়ায়, যে, আপনাকে কষ্ট পাইতে হয় । \こ切 ○