পাতা:চিঠিপত্র (দ্বাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করলে তবেই সে উপন্যাস ‘প্রবাসীতে প্রকাশিত হবে, —এ সৰ্ত্তে শরৎচন্দ্র নিজেকে অপমানিত করতে রাজী হলেন না । একথা তিনি রবীন্দ্রনাথকে জানালেন । কবি শুনে অত্যন্ত ক্ষুন্ন হয়ে ‘প্রবাসীতে’ রচনা পাঠাতে র্তাকে বারংবার নিষেধ করেন । শরৎচন্দ্র তাই প্রবাসীতে কখনো কোন রচনা দেন নি।” কোন বিখ্যাত বা অবিখ্যাত লেখকের লেখা পাইবার আগ্রহ প্রকাশ করা আশ্চর্য্যের বা দোষের বিষয় নহে। কিন্তু আমি শরৎবাবুর লেখা পাইবার জন্য কখনও আগ্রহ প্রকাশ বা চেষ্টা করি নাই। কিন্তু নরেন্দ্রবাবুর বহির ঐ কথাগুলি অবলম্বন করিয়া আমার উপর আক্রমণ হইয়াছে । তাহা গত শনিবার রাত্রে দেখিয়া আমি ক্ষুব্ধ হইয়া আপনাকে চিঠি লিখিয়াছিলাম । আমার চিঠিতে একটা বাক্য আছে যাহা ঔদ্ধত্য প্রকাশক মনে হইতে পারে, কিন্তু আমার উদ্দেশ্য অন্য রূপ ছিল । বাক্যট। এইরূপ :– “আমি জানি আমি কখনও আপনাকে এরূপ অনুরোধ করি নাই যে, আপনি শরৎবাবুকে প্রবাসীতে লিখিতে অনুরোধ করুন।” ইহার পর আমার লেখা উচিত ছিল, “এই কারণে আমার মনে হয় আপনি কখনও তাহাকে প্রবাসীতে লিখিতে অনুরোধ করেন নাই ।” কিন্তু মনের চঞ্চল অবস্থায় তাড়া তাড়িতে তাহা লেখা হয় নাই । এই ক্রটি মার্জনা করিবেন। আপনি যদি স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়া প্রবাসীর প্রতি মমতাবশতঃ 8 e br