পাতা:চিঠিপত্র (দ্বাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করে। অতএব আমার বিশ্বাস ঝুলিটা লুকানোই থাকিবে এবং যখন ফিরিয়া আসিব তখন শূন্ত হাতেই ফিরিব । জোর করিয়া বলিতে পারি না তবে আন্দাজে বলিতে পারি হয় ত হাজার খানেক টাকা নূতন বাড়ি তৈরি করিবার জন্য পাঠাইতেও পারি কিন্তু তাহাতেই কি সমস্ত পূরণ হইবে ? অস্তুর্যামী, যিনি অস্তরে বসিয়া বাহিরে ফল দিয়া থাকেন তিনি দেখিতেছেন আমাদের তপস্যা সম্পূর্ণ হইয়া উঠে নাই । তিনি মিথ্যাকে প্রশ্রয় দিয়া বঁাচাইয়া রাখিবেন না। যাহার আয়ু নাই তাহাকে মরিতে দিতেই হইবে । বাহিরে যে টানাটানি দেখিতেছেন সেটা অস্তরের টানাটানির বাহ্য লক্ষণ মাত্র । বাহির হইতে জোড়াতাড়া দিয়া একটা ইস্কুলকে খাড়া করিয়া রাখা চলে কারণ তাহা প্রাণের জিনিষ নহে কিন্তু আশ্রমকে বঁাচাইয়া রাখা চলে না । অতএব, যদি সামর্থ্য না থাকে তবে ভ করিব না— আমাকে জবাব দিলেও তাহার সেবকের অভাব ঘটিবে না এই কথাই মনকে বুঝাইয়াছি । ইতি ২১শে আশ্বিন ১৩১১ আপনাদের ঐরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বুবার সঙ্গে আমার দেখা হইয়াছে । ভালই আছে । রোটেনস্টাইনকে অনুরোধ করিয়া