পাতা:চিঠিপত্র (দ্বাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

থেকে রবীন্দ্রনাথকে লিখিত শরৎচন্দ্রের পত্রে : ‘আজ আমরা আপনার কাছে যাইতেছিলাম কিন্তু পথে ঐযুক্ত প্রমথবাবুর কাছে টেলিফেণ করিয়া শুনিলাম আপনি বোলপুরে । স্বভাবতই মনে হয় এই সময়ের পূর্বেই উভয়ের সাক্ষাৎ পরিচয় ঘটেছিল । প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য এই বৎসর ১৮ মার্চ বিচিত্রার আসরে শরৎচন্দ্রের উপস্থিতিতে রবীন্দ্রনাথ তার ‘ছন্দ' প্রবন্ধটি পাঠ করেছিলেন । এই সময়ে রবীন্দ্রনাথের অনুরোধে শরৎচন্দ্র বিচিত্রার পরবর্তী অধিবেশনে ( ২৮ মার্চ, ১৯১৮) স্বরচিত নূতন গল্প পড়ে শোনাতে প্রতিশ্রুত হন। ঐ সভায় তিনি পাঠ করেছিলেন ‘একটি গল্প’। দ্র নলিনীকান্ত ভট্টশালী, শনিবারের চিঠি, অশ্বিন ১৩৪৮, পৃ ৮৪৩-৪৪ ; রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ছন্দ ( ১৯৬২ সং ) পৃ ৩৫৬ । প্রবাসীতে শরৎচন্দ্রের লেখা প্রকাশপ্রসঙ্গে শরৎচন্দ্রের জীবনীকার নরেন্দ্র দেব ও প্রবাসী-সম্পাদক রামানন্দের মধ্যে যে মতান্তর ঘটেছিল তার বিশদ বিবরণের জন্য দ্রষ্টব্য প্রবাসী, ভাদ্র ১৩৪৬ ‘আলোচনা’, পৃ ৭০০-৭০৩ । -পত্র ১৫২, ১৫৩ ৷ এই সময়ে রামানন্দ যুক্তপ্রদেশের বাঙালী ছাত্রছাত্রীদের মাতৃভাষায় শিক্ষালাভের সমস্যা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন । এ বিষয়ে তিনি রবীন্দ্রনাথকে পত্র দ্বারা অবহিত করেছিলেন এবং এই সমস্ত সম্পর্কে তার নিজের বক্তব্যের অমুকুলে রবীন্দ্রনাথের সমর্থন চেয়েছিলেন। এ বিষয়ে প্রবাসী ভাদ্র, ১৩৪৬ এর ‘বিবিধ প্রসঙ্গে’ প্রকাশিত “আগ্রা-অযোধ্যায় বাঙালী ছেলেমেয়েদের শিক্ষায় বাধা’ শীর্ষক আলোচনায় রামানন্দ লিখেছিলেন : ••••ঐ প্রদেশে এমন স্থায়ী বাসিন্দাও অনেক আছেন ধtহাদের মাতৃভাষা হিন্দুস্থানী নহে। তাহাদের মধ্যে বাঙালীদের @$@