পাতা:চিঠিপত্র (দ্বাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সংখ্যাই ৰেশী । হিন্দুস্থানী ছেলেমেয়েদের নিজের মাতৃভাষার সাহায্যে শিক্ষালাভ করিবার ও পরীক্ষণ দিবার যে স্বাভাবিক অধিকার অাছে, বাঙালী ছেলেমেয়েদের ও সেই স্বাভাবিক অধিকার আছে, কারণ তাহারা ও ঐ প্রদেশের স্থায়ী বাসিন্দা এবং তাহীদের অভিভাবকেরা হিন্দুস্থানী অভিভাবকদের মত ট্যাক্স দিয়া থাকেন এবং পৌর কৰ্ত্তব্য পালন করেন । ... যে যে শহরে বাঙালীর সংখ্যা বেশী—হয়ত কয়েক হাজার বাঙালী বাস করে, সেখানে বাঙালী ছাত্রদের জন্য বাংলার মধ্য দিয়া শিক্ষা দিবার, অন্তত: বাংলাভাষা শিক্ষণ দিবার, ব্যবস্থা দাবী করা অন্যায় নহে । যুক্তপ্রদেশের গবন্মেটি যদি তাহাতেও রাজী না হন, তাহা হইলে আর একটি দাবী তাহারা ন্যায়ের মর্যাদা রক্ষা করিয়া কোন মতেই অগ্রাহ করিতে পারেন না । সেটি এই : এলাহাবাদ, লক্ষ্মেী, কাশী, কানপুর প্রভৃতি বড় বড় শহরে বাঙালী রা. নিজের বায়ে উচ্চ শ্রেণীর বিদ্যালয় স্থাপন করিয়া চালাইয়া অসিতেছে । কয়েকটি গত শতাব্দী হইতে চলিতেছে । বাঙালীদের এরূপ বালিকাবিদ্যালয় ও আছে । এই গুলিতে বাংলা শিখান হয় এবং শিক্ষণীয় সকল বিষয়ই বাংলা ভাষার মধ্য দিয়া শিখান যাইতে পারে । যুক্ত প্রদেশের গবন্মের্ণট এই বিদ্যালয়গুলিকে তাহীদের ‘জানিত' (recognised) বিদ্যালয় বলিয়া মানিয়া লউন এবং তাহাদের ছাত্রছাত্রীদিগকে সরকারী পরীক্ষা দিতে অকুমতি প্রদান করুন । এখন প্রশ্ন উঠিবে, অমুমতি পাইলে বাঙালী ছাত্রছাত্রীরা কোন ভাষায় উত্তর শিখিবে ? ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যের প্রশ্নের & S ^