পাতা:চিঠিপত্র (দ্বাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গোড়াতেই মন পদার্থকে বসিয়ে দিতুম । আমরা না চাইতেই মন জিনিসকে পেয়েচি অথচ কি করলে ওকে অগ্রাহ করবার শক্তি জন্মায় এই সাধনাতেই জীবনটা গেল । সাতটা লম্বা চওড়া পাতা আমার ক্ষুদে অক্ষরে ভরে গেছে । অর্থাৎ দু কলমে ভাগ করলে প্রবাসীর ১৪ কলমের বেশি ভত্তি হবে । হয়ত আরো গোটা তুই ঐ রকম লম্বা পাতা ভরবে— অর্থাৎ আপনার ফৰ্ম্মা দুয়েক জুড়ে বসবে । হিসেব ঠিক হল কি না বলতে পারি নে কিন্তু কাছাকাছি হয়ত হবে । এর মধ্যে হিন্দু মুসলমান, হোমরুল, ইণ্টাৰ্ণমেণ্ট প্রভৃতি কোনো কথাই বাদ পড়ে নি । লিখতে লিখতে কথা বেড়ে চলেচে— আরো দুতিন দিন যদি এমন ভাবে চলে তাহলে, সেদিন যেমন অবিশ্রাম বাদলার পালা পড়েছিল, সেই রকম হবে— বাতাসের সো সো, বৃষ্টির ঝরঝর মেঘের গরগর সমস্ত মিশে বীরকরুণ হাস্যরসের একটা ছোটখাটো চক্রবাত্যার মত দাড়িয়ে যাবে। হয়ত ছাপা হবার পূৰ্ব্বে একবার সভায় দাড়িয়ে পড়লে আসর গরম করা যেতে পারে । সে সম্বন্ধে যথাকালে আপনার পরামর্শ নেওয়া যেতে পাৰ্ব্বে । সেই শচীন্দ্র দাসগুপ্ত এবং তার ভাইয়ের বধ ও বন্ধনের যে ইতিহাস সাক্ষ্যসাবুদসমেত আমার কাছে এসে জমেচে সে সম্বন্ধে আপনার কাছে সমস্ত দলিলসহ একটা প্রকাশ্য পত্র লিখতে চাই । সেই পত্র আপনি প্রবাসীর সাময়িক আলোচনা বিভাগে যদি সদরে পেশ করে দেন তাহলে কেমন হয় ? আপনারা শাস্তিনিকেতনের এই ছুটির সময়কার শারদীয়া 的8