পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যখন শুনলুম তুমি আমাদের ওখানে গিয়ে ফিরে গেছ আমার মনে বড়ো আঘাত লাগল ! আগে যদি জানতুম তাহলে নিশ্চয়ই এখান থেকে জোড়ার্স কোয় গিয়ে তোমার সঙ্গে দেখা করত্নম । অামি কাল বৃহস্পতিবারে বিকালে জোড়াসাকোয় যাব— তার পরদিন সকালে পালাব শান্তিনিকেতনে । হয়ত বৃহস্পতিবারে তোমার আসা সম্ভব হবে না । না হোক, কিন্তু একটা কথা নিশ্চিত জেনে!, তোমার পরে আমার স্নেহ ও শ্রদ্ধা সুগভীর । যদি আমি তোমার অন্তরের অভাব দ্বন্দু বেদনা কোনো উপায়ে লাঘব করতে পারতুম বড়ো পুসি হাতুম। কিন্তু আমার সে শক্তি নেই । আমি নিজে যদি বা কোনো সত্য উপলব্ধি করি সেট অার কাউকে দেবার ক্ষমতা আমার নেই । লেখবার ক্ষমতা হয় তো অাছে, কিন্তু লেখা এবং দেওয়া একই নয় । পরশ পাথর যার শক্তির মধ্যে আছে মানুষকে সেই তো সত্যকার দানে ধনী করে । অন্তরকে সেনি। কসতে যারা পারেন তাদের দেখা পাওয়া তুর্লভ | সেই জন্তে তামার মতো ভাষানিপুণ লোকও হয় তো অল্প কিছু উপকার করতে পারে । ভাষার সাহায্যে হয় তো আমরা বৃদ্ধিতে বুঝি কিন্তু তান্তরে পাইনে । সত্য জানা বড়ো কথা নয়, সত্য হওয়াই হচ্চে চরম সিদ্ধি । সেই সত্যকরণের শক্তি র্যার কাছে পাওয়া সম্ভব তাকেই প্রণাম করি । আমার কি প্রণাম প্রাপ্য ? কিন্তু অকৃত্রিম স্নেহদানের যদি কোনো মূল্য থাকে সে মূল্য তুমি পেয়েছ । ইতি ৬ আশ্বিন ১৩৩৮ দাদা ○ ○