পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8. [ শাস্তিনিকেতন । সেপ্টেম্বর ১৯৩১ ] কল্যাণীয়াসু তুমি বোধ হয় খবর পাওনি— হিজলি হত্যা নিয়ে আমি কি রকম ভীষণ ভিড়ের মধ্যে টাউন হল থেকে মন্ত মেন্ট পৰ্য্যন্ত পাক খেয়েছি। তার পরের দিনও সকাল সাতটা থেকে আমার বাড়িতেও ঠেলাঠেলি ভিড় । আমার শরীরে আর সইছিল না । এক মুহূৰ্ত্তও সময় ছিল না যে এক লাইন লিখে তোমাকে আমার অবস্থা জানাব। রেলগাড়িতেও তুই মাদ্রাজি আমাকে অৰ্দ্ধেক পথ অদ্বৈতবাদ ব্যাখ্যা করে সাংঘাতিক অত্যাচার করেছিল। এখানে আধমরা হয়ে পৌঁচেছি। অনেক দিনের অনুপস্থিতিতে এখানেও কাজ জমা হয়ে আছে — যখন বিছানায় উত্তান হয়ে পড়া উচিত ছিল তখনো ডেস্ক অঁাকড়ে পড়ে আছি। সামনে স্তৃপাকার আধুনিক বাংলা গল্পের বই আমার অভিমতের অপেক্ষায় আমার মুখের দিকে তাকিয়ে গেছে। নীরবেই তাদের সৎকার হবে— আমার শক্তি নেই। লেখকরা মনে করে তাদের প্রতি আমি উদাসীন— এ কথা ভাবে না তারা প্রত্যেকে একজন কিন্তু আমার ঘরে তারা অসংখ্য— তা ছাড়া আমার সময় নিরবধি নয় আমার শক্তিও পরিমিত । তোমাকে কিছু বই পাঠাবার জন্যে লিখেছি। এ চিঠি পাবার আগেই বোধ করি পেয়েচ । ఎమె