পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যে, সমস্ত ইংরেজ জাতি ও বাঙালী জাতির ভাগ্যফলে এবং যেদিন প্রথম বন্দুক স্বষ্টি হয়েছিল সেইদিনকার নক্ষত্রগুলি পরস্পরের প্রতি যা ভঙ্গী করেছিল তারি গুণে ব্যাপারটা ঘটতে পেরেছিল। তা ছাড়া ভৃগুমুনি সব নক্ষত্র ও সব গ্রহ তার হিসাবের মধ্যে আনেন নি – সম্ভবও নয় জানাও ছিল না। তারা কি বেকার বসে আছে ? অতগুলো জ্বলন্ত দৃষ্টি হিন্দুসস্তানের ভাগ্যকে এড়িয়ে গেল কী করে ? আর কেন ? এসব জঞ্জাল নিয়ে মনকে হতবুদ্ধি অবসাদগ্ৰস্ত করে কী হবে । আমি মৃত্যু সম্বন্ধে অনেক কবিতা লিখেচি দেখে আমাকে প্রশ্ন করেচ আমি মৃত্যুকে ভয় করি কি না । সাধারণভাবে করি নে। জীবন আর মরণ তো একই সত্তার তুই দিক— চৈতন্তে ঘুম ও জাগরণ যেমন । অনেক সময় দেখা যায় শিশুরা ঘুমের আবেশ এলে অত্যন্ত বিরক্ত হয়, মুখ আচড়ে ছটফট করে’ নিজেকে জাগিয়ে রাখতে চায়— তা দেখে বড়োর উৎকষ্ঠিত হয় না। জানে যে ঘুম যদি না হয় তাহলে জাগরণটাই পীড়িত হয়ে ওঠে। মৃত্যুও তেমনি— যদি না আসত তাহলে নিরবচ্ছিন্ন প্রাণটাকে নিয়ে ত্ৰাহি ত্ৰাহি করতে হোত । জীবনের সঙ্গে যেটা অবর্জনীয়ভাবে যুক্ত তাকে সহজ বিশ্বাসে গ্রহণ করাই উচিত। মৃত্যু যদি জীবনের একান্ত বিলুপ্তিই হয় তাহলেও সেই ক্ষতিটা কার ? যে মরে চে তার কিছুতেই লোকসান নেই। যখন বেঁচে অাছি তখন তো মরি নি । আগেভাগে ভয় করে? ভাবনা করে কী হবে ? বিনষ্ট যদি হই তবে কোনো দুঃখ কোথাও রইল না, কোনোভাবে যদি বেঁচে থাকি তাহলে আজও যেমন ס\ x x