পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তোমরা যদি এক কাল্পনিক ভৃগুমুনির দোহাই দিয়ে বলে যে পঞ্চমস্থানে বৃহস্পতিই হচ্চেন বন্ধু, আর আকাশময় গ্ৰহতারা মিলে আমাদের ছোটো বড়ো ভালোমন্দ সমস্তই বিধান করচেন, তাহলে ঈশ্বরকে কী বলে মানব ? অার যদি নাই মানি তাহলে অপরাধ হবে কোন যুক্তিতে ? কেননা আমার না মানার হেতুই হচ্চে আমার কোষ্ঠীর আকাশে কোনো এক জায়গায় কেতু বসে আছেন তারই প্রভাব । বহুদূর আকাশে কোনো একটা দুষ্ট চক্রান্ত অনিবাৰ্য্যশক্তিতে আমার বুদ্ধিকে যদি বিপথে নিয়ে যায় তাকে যদি অপরাধ বলে, তাহলে ভূমিকম্পের ধাক্কায় কারো ঘাড়ের উপর পড়ে তাকে জখম করলে সেও হবে অপরাধ। হিন্দুধৰ্ম্ম যদি বলে অপরাধ বাইরেক্ষার জিনিষ, এই জন্যেই তিথিনক্ষত্রের হিসাব মিলিয়ে বিশেষ মুহূৰ্ত্তে ব্রাহ্মণকে পেট ভরে খেতে দিলে বা গঙ্গাস্নান করলে চুরি ডাকাতি নরহত্যার পাপ নিৰ্ম্মল হয়ে যাবে তবে এমন অনুশাসন আমি যদি অন্যায় বলেই বোধ করি, এমন কি একে যদি নাস্তিকতা বলি তাহলে আমার ধৰ্ম্মস্থানে যে গ্রহের দৃষ্টি আছে তার প্রতি তাকিয়ে আমাকে ক্ষমা করতেই হবে । নাস্তিকতা কেন বলচি সেটা বুঝিয়ে বলি। অন্ন বস্ত্র ধন স্বাস্থ্য প্রভৃতি বাইরের পদার্থকে বাইরের নিয়মে অর্জন বা তার ক্রটি দূর করতে হয়— সেই সব অমোঘ নিয়ম বিজ্ঞান শাস্ত্র আবিষ্কার করচে— এ সম্বন্ধে যতই আমাদের অজ্ঞান দূর হয় ততই আমরা সফলতা লাভ করি । তুমি বোধ হয় বইয়ে পড়েচ, যে, আমেরিকার কটিদেশ ছিন্ন করে যে খাল কাটা হয়েচে সেই খাল কাটবার চেষ্টা প্রথমে ব্যর্থ করে Y S ^