পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমি যতই পরিতৃপ্তি পাই না কেন আমার তরফে পুরুষোচিত যে বীৰ্য্যের আনন্দ, যে মুক্তির আদর্শ, যে স্থষ্টির তপস্যা, যে সৰ্ব্বপ্রকার অমঙ্গলের বিরুদ্ধে প্রাণপণ বিদ্রোহ, যে আত্মত্যাগী কৰ্ম্মের কঠোরতা তার বিজয়বাণী না শুনিয়ে থাকতে পারি নে। বাংলাদেশে দীর্ঘকাল ধরে পুরুষও নারীর আদর্শে বিমুগ্ধ, সেই জন্যেই তার সৃষ্টিশক্তির এমন বিকার ঘটেছে— সেই জন্তেই কেবলি পরের কুৎসায় পরশ্ৰীকাতরতায় পরস্পরকে ব্যর্থ করচে, কোনো বড়ো কৰ্ম্মকে স্থায়ী ভিত্তিতে গড়ে তুলতে পারচে না— তাই তপস্যা ভঙ্গ করতে, সাধু চেষ্টাকে অশ্রদ্ধা করতে, আরব্ধ কৰ্ম্মকে ভেঙে ফেলতে, শ্রেষ্ঠতাকে অস্বীকার করতে, যে-কোনো উপলক্ষ্যেই একত্র হবামাত্র খুৎ ধরে, ছোটো ছোটো ছুতো নিয়ে, মিথ্যা বলে’, অতু্যক্তি করে সব কিছু পণ্ড করে দিতে, অকথ্য ভাষায় কোদল করতে তার এমন একটা অস্বাভাবিক অানন্দ । চরিত্রের ভিত্তি তুৰ্ব্বল, মাটিতে অত্যন্ত বেশি রস, পাথুরে কঠিনতার অভাব— তাই আমাদের মিলনে আট নেই, অনুষ্ঠানে স্থায়িত্ব নেই, কেবলি তর্ক বিতর্ক দলাদলি, তালকে তিল ও তিলকে তাল করা । গ্ৰহগণনায় জ্যোতির্ভষণের কী দাবী আমাকে জানিয়ো, মিথ্যে জরিমানা দিয়ে না। জয়ন্তীর প্রবেশিক তুমি যদি আমার কাছ থেকে দাবী করে নাও তবে আমি খুসি হব । তার বদলে তোমার কাছ থেকে আমি না হয় তোমাদের কোনো একটা উত্তরবঙ্গীয় মুক্তনি কিম্বা চাপড়ঘণ্ট কিম্বা শশা বা কুমড়োবীচির মিষ্টান্ন অথবা পৌষপাৰ্ব্বণের পিঠের প্রত্যাশা জানাব। কিন্তু > ○8