পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অন্তরিন্দ্রিয়ের মধ্যে লঙ্কাদাহ উৎপাদন যাতে না হয় সেদিকে नू४ि রেখো । ইতি ১৭ অগ্রহায়ণ ১৩৩৮ দাদা 8 را [ শান্তিনিকেতন * ] ৪ ডিসেম্বর ১৯৩১ હૈં কল্যাণীয়াসু খুচরো কাজের ভিড় প্রতিদিনই অত্যন্ত বেশি করে ঘনিয়ে আসচে। এ যেন রথের ভিড়ের মত— এক জনের সঙ্গে আর এক জনের সম্পর্ক নেই, অথচ ঠেসাঠেসিতে ফাক পাওয়া যায় না । আজ তোমাকে চিঠি লিখব না বলেই স্থির ছিল । কাল একটা চিঠি লিখেচি, অতএব কিছুদিনের ছুটির মেয়াদ দাবি করতে পারি। কিছুদিনের পূর্বের পত্রে আভাস পেয়েচি পত্রোত্তরের বিলম্বে রাগ করবার অভ্যাসটুকু তোমার আছে। বোধ হচ্চে তোমাদের উত্তরবঙ্গীয় মেজাজ তোমাদের লঙ্কারসিত চাপড়ঘণ্টর মতোই ঝাঝালো। দক্ষিণ বঙ্গের পলিমাটিতে আমরা মানুষ, আমরা ভীতু স্বভাবের— একান্ত ভালোমানুষির সাহায্যেই আমরা আত্মরক্ষার চেষ্টা করে থাকি । “অন্যে বাক্য কবে কিন্তু তুমি রবে নিরুত্তর” এই পদ্ধতিটা অন্তত অাজকের দিনে নিরাপদে অনুসরণ করতে পারতুম । কিন্তু তোমার চিঠিতে দেখলুম শ্রীপতি তার চিঠির জবাব আজও প্রত্যাশা করচে। যেদিন তার চিঠি পেয়েছি সেই দিনই উত্তরে তাকে জানিয়েছিলুম যে, তার রচিত S \ot