পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বদ্ধপ্রাচীর ঘরের চারিদিকে যেমন বাগান, সাহিত্য তেমনি সংসারক্ষেত্রের সংলগ্ন করেই আনন্দের মুক্তিক্ষেত্র রচনা করে। যে পরিমাণে তা সত্য হয় সেই পরিমাণেই সাহিত্যের নিত্যতা । আজ আর সময় নেই। ইতি ২ ফেব্রুয়ারি ১৯৩২ দাদা ማb” ১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৩২ শান্তিনিকেতন હૈં কল্যাণীয়াসু যে বেদনায় এত করে তোমাকে অশাস্ত করচে তোমার চিঠিতে তার প্রকাশ দেখে আমি ব্যথা পাই । তুমি বাতাসের সঙ্গে লড়াই করচ, তুমি নিজের হাতে গ্রন্থি রচনা করে তাই নিয়ে নিরস্তর টানাটানি করতে প্রবৃত্ত। স্বভাবের মধ্যে নিজে দ্বিধা ঘটিয়ে একটা দারুণ আবৰ্ত্ত সৃষ্টি করেচ । সহজ হও, প্রকৃতির সহজধারাকে যদি জবরদস্তি করে অবরুদ্ধ না করে তা হলে সে আপনিই আপন সমুদ্রপথ খুজে নেবে । মাটির বাধায় নদীর যাত্রাপথ বেঁকে বেঁকে যায় কিন্তু সে যদি পথের ভয়ে চল। বন্ধ না করে তাহলে তার স্রোতের প্রেরণা তাকে চরমেরই দিকে নিয়ে যায়। কিন্তু সেই চরম সম্বন্ধে যদি একটা কাল্পনিক ভূগোলবৃত্তান্ত খাড়া করে তোলে। তাহলে খাল-খোড়াখুড়ির আর অন্ত থাকে না, তাহলে বাহিরের বাধা দস্তুরের অবরোধে তোমার 38br