পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিন্তু পারস্তভ্রমণ লেখায় সেই অবকাশটুকু সম্পূর্ণ হরণ করেছে। আজকাল লিখতে অত্যন্ত ক্লাস্তি বোধ হয়। সমস্ত পৃথিবীজোড়া তুঃসময়ের ছায়া আমাদের সকলেরই ভাগ্যকে নিরালোক করে তুলচে– তার হাত থেকে নিস্কৃতি নেই। কিন্তু অন্তরাত্মা তো আমাদের নিজের হাতে । বাসন্তীকে আমার আশীৰ্ব্বাদ । ইতি ২৮ জ্যৈষ্ঠ [ ১৩৩৯ ] দাদা جه بي ২২ জুলাই ১৯৩২ હૈં কল্যাণীয়াসু তোমার চিঠিখানি পেয়ে খুসি হলুম। দুরবস্থাগ্রস্ত শরীর মন নিয়ে কৰ্ম্মসংক্ষেপ করবার চেষ্টা করি কিন্তু কৰ্ম্ম বেড়েই চলে । চিঠিতে তুমি যে আশ্রমের বর্ণনা করেছ তার মধ্যে রসের যে উদ্ভাবনা আছে আমার কল্পনাকে তা যে স্পর্শ করে না এমন কথা মনে কোরো না । কিন্তু মানবসংসারের সমস্ত দায়িত্বকে বাইরে ঠেকিয়ে রেখে বুদ্ধিবৃত্তিকে অন্ধ করে নিরস্তর ভাবরসসম্ভোগে আত্মবিস্মৃত হওয়ার মধ্যে যতই মুখ বা শাস্তি থাক, তাকে আমি কোনোমতেই শ্রেয় বলে মনে করতে পারি নে। এই ধৰ্ম্মবিলাসিতায় আমাদের দেশকে মৰ্ম্মে মৰ্ম্মে মেরেছে। সম্প্রতি নবজাগ্রত পারস্য ও আরব্যকে দেখে এসেছি, পূৰ্ব্বে S (1 &