পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শান্তিনিকেতন \કં কল্যাণীয়াসু ভারতবর্ষে দ্রাবিড়জাতীয়দের সমাজ মাতৃতন্ত্র, অর্থাৎ সে সমাজে স্ত্রীপ্রাধান্ত । এটা যে হতে পেরেছে তার প্রধান কারণ, তাদের ভাবপ্রবল স্বভাব । সৰ্ব্বদা ভাবরসে তাদের মন আর্দ্র । যাদের এই রকমের প্রকৃতি নিজের মধ্যে এই ভাবরসকে উদ্বেল করে তোলাই তাদের ধৰ্ম্মসাধনার চরম লক্ষ্য । তারা অাপন হৃদয়বৃত্তিকে চরিতার্থতা দেবার জন্তেই নিজের দেবতাকে ব্যবহার করে। এই রসোন্মত্ততায় বিশ্বসংসারকে ভূলে থাকাকেই তারা ধাৰ্ম্মিকতা বলে মনে করে। এই পানগোষ্ঠীর বাইরে তাদের পক্ষে সমস্তই অশুচি, সমস্তই পরিত্যাজ্য । এত বড়ো বিশ্বব্রহ্মাণ্ড কেন তৈরি হয়েছিল, এ ভুল করেছিল কে ? ভোজ্যআয়োজনে নিরস্তর ব্যাপৃত, ধূপে দীপে মাল্যে মণ্ডিত, কীৰ্ত্তনে ভজনে নিত্য মুখরিত, আত্মবিস্মৃত এই এক একটি সঙ্কীর্ণ রসমণ্ডলীর বাইরে যে বিপুল সংসার পড়ে আছে, ভক্তিভাবাকুলদের পক্ষে সেখানে যেন দেবতার অরাজকতা,— সেখানে বিশ্ববিধাতার কোনো দাবী নেই, কোনো আহবান নেই। এইরকম মনোভাবটি মেয়েলি — সেই চিত্তবৃত্তির মধ্যে কৰ্ম্মের প্রাধান্ত নেই, বুদ্ধির সর্বদ গদগদ বাম্পাবিলতা। এই প্রেমভক্তি নিজের মধ্যেই নিজে আবৰ্ত্তিত। একে স্বার্থপরতা যদি বা না বলি তবু একে বলা যায় আত্মপরতা। বাঙালী অনেক অংশে দ্রাবিড়, এই জন্তে > (2br