পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করি নি, সুতরাং তুমি কুষ্ঠিত হোয়ো না । কিন্তু অসাধ্যতার অন্যতম কারণ তোমার পারমার্থিক ক্ষতি এ কথা শুনে চিন্তিত হলুম। পরমার্থ শব্দের অর্থ আমি যতদূর জানি তাতে এই বুঝেছি যে ওটা স্বার্থ ও সমাজবিধির উপরে। র্যার পরমার্থ সাধন করেন র্তাদের কাছে স্বার্থ নেই সামাজিক বিধি বিধান নেই । কোনো মানুষকে তারা অবজ্ঞা করেন না ঘৃণা করেন না অস্পৃশ্য বলে বর্জন করেন না । তাদের শুচিবায়ুগ্রস্ত সাধনার সঙ্কীর্ণ ক্ষেত্র কৃত্রিম প্রাচীরে ঘেরা নয়। র্তারা নির্বিচারে সকল মানুষের আপন । তে সৰ্ব্বগং সৰ্ব্বতঃ প্রাপ্য ধীরা যুক্তাত্মানঃ সৰ্ব্বমেবাবিশন্তি । তোমার পরমার্থ ছোওয়া খাওয়া নিয়ে, ব্রাহ্মণ শূদ্রের জাতবিচার নিয়ে । তুমি সৰ্ব্বদাই যে হিন্দুয়ানির কথা বলে থাকে৷ সেই হিন্দুর অধ্যাত্মশাস্ত্রেও পরমার্থ শব্দের এমন কোনো ব্যাখ্যা শুনি নি যাতে জোড়ার্সাকোর দেউড়িতে এসে তাকে ঠোকর খেয়ে পড়তে হয়। জোড়ার্সাকোর বাড়িতে থেকে শাস্ত্রবিহিত আচারের ব্যত্যয় সত্ত্বেও পারমার্থিক উৎকর্ষ লাভ করেছেন এমন সাধককে আমরা জানি । তার পরে প্রাচীন কালের কথা আলোচনা করলে দেখা যায়, তপোবনে ভোজ্য সম্বন্ধে ঋষিদের যে রুচি ছিল তৎসত্ত্বেও তখনকার কালে যদি পরমার্থসাধন সম্ভব হোত তবে এখন হবে না কেন ? কালের গায়ে তো জাতের ছোয়াচ লাগে না। ভবভূতির উত্তরচরিতে তপোবনের আহাৰ্য্যের উল্লেখ আছে। পৃথিবীতে ভারতবর্ষে আরো অনেক দেশ অাছে। যে দেবতাকে আমরা ভাটপাড়ার ব্রাহ্মণদের আচলধরা করে শুচি করে রেখেছি, আশা করি সেই X לו כי