পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সব দেশও এই দেবতারই সৃষ্টি । সে সব দেশেও এমন সকল ভক্ত ও সাধকদের জন্ম হয়েছে স্মৃতিরত্নরা যাদের পায়ের ধুলো নেবারও যোগ্য নন । আজ তোমার ঘরে র্তারা প্রবেশ করলে তোমার ঘর গোবর গঙ্গাজল দিয়ে তুমি শোধন করে নিতে, কিন্তু তাই বলেই তুমি তাদের চেয়ে শুচিতর যেহেতু তুমি ছুৎমার্গে অনেকদূর অগ্রসর হয়েছ, পরমার্থের খাতিরে এমন অহঙ্কার মনে পালন কোরো না । পৃথিবী সেই সব স্বেচ্ছদের পদক্ষেপে পবিত্র হয়েছে, তাদের চরিত স্মরণ করলে অনুসরণ করলে পরমার্থের পথ বাধাহীন হয়। যথার্থ পরমার্থের অাদর্শে বিচার করলে অামি অশুচি তাতে সন্দেহ নেই। তার কারণ এ নয় যে আমি খাওয়া ছোওয়া বাচিয়ে চলি নে— তার কারণ আমার মন নিষ্পাপ নয় । দিনে দশবাব গঙ্গণস্নান করে সকল প্রকার শকড়ি বাচিয়ে আতপ তণ্ডুল গেলেও আমি অশুচি । কিন্তু তবু বিধাতা আমাকে ত্যাগ করেন নি, মানুষও যে করবে এমন অমানুষিকতা আমি প্রত্যাশা করি নে ! তুমি যেসব অতিসাবধানী সাধকদের কথা লেখো, বিশ্ববিধাতার অধিকাংশ সৃষ্টি র্যাদের কাছে বর্জনীয়, তারা বিশ্বদেবকে ও অশুচি বলে জেনেছেন ও সেইভাবে ব্যবহার করেছেন এতবড়ো পারমার্থিক অশুচিত কিছু কি কল্পনা করা যেতে পারে । আমার সময় নেই অথচ এসব প্রশ্ন উঠলে চুপ করে থাক। আমি অকৰ্ত্তব্য বলে মনে করি । তোমাকে পীড়া দিতে তুঃখ পাই তবুও সত্যের অপমান চুপ করে স্বীকার করতে পারি নে। তীর্থসংস্কার সম্বন্ধে যা কিছু লিখেছ তা অামি মানি । কিন্তু ఆS