পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩ অক্টোবর ১৯৩২ কল্যাণীয়াস্থ যারা নিজেকে ধৰ্ম্মকৰ্ম্মের পুতুল করে তোলে তারাই আমুষ্ঠানিক অভ্যাসের প্রতিদিন পুনরাবৰ্ত্তনের দ্বারা নিজের শূন্যতাকে ভরাট করে মনে করে জীবন সার্থক হোলো । যে সকল ক্রিয়াকৰ্ম্মে বুদ্ধির অন্ধতা এবং হৃদয়ের জড়ত, সেই সমস্ত নিরর্থকতার জালে নিজেকে নিয়ত জড়িয়ে রাখা ভুলিয়ে রাখার মত দুৰ্গতি আর নেই। এই সমস্ত চিত্তহীন আচারে জীবন অসাড় হয়ে যায় । এই অসাড়তায় সুখ দুঃখের বোধকে কমিয়ে দেয় বলে অনেকে একে শান্তি বলে ভ্রম করে । কী হবে এই নিজীবতার শান্তি নিয়ে । তুমি তোমার অতৃপ্ত হৃদয়কে পূর্ণতা দেবে বলে ঘুরে বেড়িয়েছ, আজও শান্তি পাও নি । যার মন সজীব, যে চিন্তা করতে পারে, ভালোবাসতে পারে, সে কি দিনের পর দিন অনুষ্ঠানের কলের চাকা ঘুরিয়ে বঁাচে । মনুষ্যত্বের বিচিত্ৰ প্ৰবৰ্ত্তনকে অন্ধ অভ্যাসে সঙ্কীর্ণ করে আনাকে অনেকে ধৰ্ম্মসাধনা বলে, মানবস্বভাবকে খৰ্ব্ব করা পঙ্গু করাকেই মনে করে সাধুতা । জীবনকে এমন অকৃতাৰ্থ করাই যদি বিধাতার অভিপ্রেত হোত তবে তার স্থষ্টিতে এত আয়োজন কেন ? জ্ঞান প্রেম ও কৰ্ম্মের মধ্যে নিজেকে বড়ো করে পাওয়ার মধ্যেই মুক্তি। জ্ঞান প্রেম কৰ্ম্মের পরিধিকে ছেটে ছোটো করে আত্মোপলব্ধির ক্ষেত্রকে » ፃማ