পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অপ্রশস্ত করা আত্মহত্যার রূপান্তর । সংসারের খাচায় যারা কষ্ট পাচ্চে ধৰ্ম্মের খাচা বানিয়ে তারা নিস্কৃতি পাবে এ কখনো হয় না— মাদকসেবীর মতো তারা অচেতনতার মধ্যে পালিয়ে রক্ষা পেতে চায়, অর্থাৎ তারা মরে’ বাচতে ইচ্ছা করে । এক রকম আধমরা স্বভাব আছে তাদের পক্ষেই এটা সম্ভব, কিন্তু যাদের হৃদয় বুদ্ধি সজীব সচল, নিজেকে বলপূর্বক আড়ষ্ট করে’ তারা কখনোই সুখী হতে পারে না। একদিন আশ্রমে তুমি আনন্দ পেয়েছিলে,— নিজেকে কৃত্রিম নিয়মশৃঙ্খলে বেঁধেছিলে বলে সে আনন্দ নয় তোমার হৃদয় পূর্ণতার তৃপ্তি পেয়েছিল বলেই সে আনন্দ– সে একটা সত্য পদার্থ, সে বানানো জিনিষ নয়। তোমার সেই তৃপ্তির উৎসটাই আজ পাথরচাপ পড়েছে, তাই বলেই সেই পাথর নিয়েই তুমি বঁাচবে কি ? যারা সেই রুদ্ধ উৎসকে ভুলে কেবল পাথরকে সি তুর মাখিয়ে ঘণ্টা নেড়ে সময় কাটাতে অন্তরে বাধা পায় না, তারা তোমার অসন্তোষের চাঞ্চল্য দেখে তোমাকে অবজ্ঞা করে, বস্তুত তাদেরই সন্তোষের স্থাবরতা অবজ্ঞার বিষয় । তোমার প্রশ্ন এই, কি করে জীবন সার্থক হবে । কি উত্তর দেব ভেবে পাই নে । আমাদের দেশে মেয়েদের জীবনক্ষেত্র বেড়া দিয়ে খাটো করা, তার মধ্যে মামুষের চিত্ত সব খোরাক পায় না, উপবাসী থাকে। সুবিধা এই, অধিকাংশ মানুষ সঙ্কীর্ণ সীমার উপযুক্ত হয়েই জন্মায়, যাদের ডানা নেই আকাশের অধিকার হারালেও তাদের চলে । ঘরকন্নার সঙ্কীর্ণতা বা ধৰ্ম্মাচরণের সঙ্কীর্ণতা সে সব মেয়েদের মনকে বঞ্চিত করে না । বরঞ্চ তারা › ዓbr