পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমাকে বোঝে না। আমার প্রধান সার্থকতা সব কিছু প্রকাশ করা— বাণীর দ্বারা করেচি, কৰ্ম্মের দ্বারাও করচি। মনে কোরো না, আরামে করতে পেরেছি, দিতে হয়েচে অনেক, কষ্ট ও অপমান সয়েচি যথেষ্ট, নিজেকে প্রায় নিঃস্ব করেছি— কিন্তু ছুটি পাব না কোনোদিন, কেননা এই আমার স্বভাব। ইতি ২২ আশ্বিন ১৩৩৯ দাদা , е е ১৮ অক্টোবর ১৯৩২ NG কল্যাণীয়াসু এবারকার ছুটি আমার জন্যে অবকাশ নিয়ে আসে নি । নানা কাজে ও অকাজে দিনগুলো ঠাসা । তার উপরে, অনেক লোক যারা অন্তক্র ছুটি পেয়েচে তারা আমার ছুটির উপর এসে ভিড় করচে । এখান থেকে পালাব স্থির করেছি। কিন্তু প্রবাদ আছে টেকির স্বর্গপ্রাপ্তি হলেও তার ধান ভানারও গতি হয় তার সঙ্গে এক লোকে । জরুরি কাজ আছে অতএব একটু ফাক কোথায় পাওয়া যায় খুজে বের করতেই হবে। এ চিঠিতে বলিদান কিম্বা অন্য কোনো আনুষ্ঠানিক বিষয় নিয়ে তর্ক করতে চাই নে, কারণ সময় নেই। সংক্ষেপে কেবল এই কথা বলে রাখি মানুষ অনাচার করে বলেই দেবতার পরেও অনাচার আরোপ তার পক্ষে অন্ত্যায় নয় এই যদি প্রশস্ত মত হয় তবে দেবতার পূজায় নিজেকেই পূজা করবার রূপান্তর করা হয়। মানুষের চেয়ে Ꮌbr ☾