পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বলে আমি যদি ঠিক সেই প্যাটাণে নিজেকে গড়তে পারি তবেই তারা আমাকে ধন্য বলবে এ কথাটা একদিক থেকে এতই সহজ যে আমি তা বুঝতে পারি, আর একদিক থেকে তা এতই কঠিন যে আমি তা মানতে পারি নে। আমার বয়স যখন আঠারো, তখন আমি প্রচলিত পয়ার প্রভৃতি ছন্দ ত্যাগ করে নিজের ইচ্ছামতো ছন্দে কবিতা লিখতে স্থরু করেছিলুম। আমার সেই ছন্দের কাব্যকে তৎকালীন সাহিত্যের প্রবীণ মুরুবিবর “কাব্যি” বলে প্রচণ্ড বিদ্রুপ করেছিলেন। অনেকদিন পর্য্যস্ত সেই অবজ্ঞা চলেছিল। তখন অামি যদি আবার গগনে কেন সুধাংশু উদয় রে— অথবা কোথা যাও ফিরে চাও সহস্রকিরণ এই ছাদকে সামনে রেখে নিজের কবিতাকে ভদ্ররীতি দিতে পারতুম তাহলে নিজেকে আমি তখনকার সাধুসমাজে পছন্দসই করতে পারতুম । ভাগ্যক্রমে ইচ্ছে করলেও আমার দ্বারা সেট। সম্ভবপর হতেই পারত না । আমি যখন “স্বদেশী সমাজ” লিখেছিলুম তখন তৎকালীন কনগ্রেসওয়ালারা আমার উপর অত্যন্ত বিরক্ত হয়েছিলেন । বিদেশী গবর্মেন্টের সঙ্গে অনন্তকাল ধরে রফানিস্পত্তির কাজকেই তারা ভারতবাসীর মোক্ষসাধন বলে স্থির করেছিলেন । র্তারা অবজ্ঞা করে বলেছিলেন বেস্থাম প্রভৃতি পণ্ডিতরা স্টেটু সম্বন্ধে যে মত প্রচার করেছেন আমি অশিক্ষাবশত সেসব কিছুই জানিনে বলেই এমন কথা বলতে পেরেছি যে প্রজারা নিজেদের শাসনশক্তি নিজেরাই উদ্ভাবন করতে পারে। অামি যদি ভালোমানুষের মত দেশের জন >brs