পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তোমাকে বিচিত্রিতা পাঠিয়েছিলুম— কালুঘোষের দরোয়ানের স্বাক্ষরিত রসিদ আছে । কিন্তু তোমার কাছ থেকে প্রাপ্তিস্বীকার পাই নি। ইতি ১১ অক্টোবর ১৯৩৩ দাদা ॐ ३ 8 ১৬ অক্টোবর ১৯৩৩ હિં কল্যাণীয়াসু তুমি নিজেকে অত্যন্ত মিথ্যা পীড়ন কর । তোমার প্রতি আমার লেশমাত্র রোষ বা অবজ্ঞার ভাব নেই সে তুমি নিশ্চয় জানো তবু থেকে থেকে নিজের মধ্যে একটা বিপ্লব বাধিয়ে তোলে। তোমাকে উপলক্ষ্য করে আমি অনেক কথা বলি কিন্তু তোমাকে বলি নে । দেশের অসীম দুৰ্গতির কথায় মন যখন উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে তখন চুপ করে থাকতে পারি নে। ধৰ্ম্মে ও নিরর্থক আচারে হিন্দুকে শতধা বিভক্ত করে রেখেচে, বিদেশীর হাতে তাই পরাভবের পর পরাভব ভোগ করে আসচি। অন্তঃশক্র এবং বহিঃশত্রুর হাতে মার খেয়ে খেয়ে আমাদের হাড় জীর্ণ। মুসলমান, ধৰ্ম্মে এক, আচারে এক, বাংলার মুসলমান, মাদ্রাজের মুসলমান, পাঞ্জাবের মুসলমান এবং ভারতবর্ষের বাইরের মুসলমান সমাজে সবাই এক, বিপদে আপদে সবাই এক হয়ে দাড়াতে পারে এদের সঙ্গে ভাঙাচুরো হিন্দুজাত পারবে না। আরো একবার আফগানিস্থানের পাঠানদের হাতে কানমলা S్న ఆ