পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খাবার দিন ঘনিয়ে আসচে। পি, সি, রায় অরণ্যে রোদন করচেন, বলচেন বাঙালীর অন্ন পরের হাতে যাচ্চে । কিন্তু ংলার মুসলমানরা পিছয় নি— দেশে বিদেশে তাদের দেখেচি জীবিকা উপার্জনে— কেননা বিধিনিষেধের নাগপাশ তাদের হাজার পাকে জড়িয়ে রাখে নি। মজ্জাগত অনৈক্যজনিত তুৰ্ব্বলতা এবং সহস্ৰবিধ বিধিনিষেধের বোঝা ঘাড়ে করে এই জাত বঁাচবে কী করে ? সামাজিক অসম্মান থেকে বাচবার জন্যে প্রতিদিন নিম্নশ্রেণীর হিন্দুরা মুসলমান এবং খৃষ্টান হতে চলেচে– কিন্তু ভাটপাড়ার চৈতন্য নেই। একদা ঐ তর্করত্নদের প্রপৌত্রমণ্ডলীকে মুসলমান যখন জোর করে কলম পড়াবে তখন পরিতাপ কর বারও সময় থাকবে না । এই সব মনের দুঃখ তোমার কাছে মাঝে মাঝে ভাষায় প্রকাশ করি তাতে ক্ষতি হয়েচে কি ? দেশের কথা চিন্তা করে যে কঠিন আঘাত আমাকে বাজচে সেটা তুমি ভেবে দেখ না কেন ? দেশের জন্তে আমি তোমাকেও ভাবাতে চাই– তুমি কি দেশের মেয়ে নও ? ব্যক্তিগতভাবে তোমাকে বেদনা দিতে আমার একটুও ভালো লাগে না— কিন্তু বিধাতার অভিসম্পাতে যে বেদন প্রায় বিশকোটি হিন্দুর প্রাপ্য চোখ বুজে নিজেকে ভুলিয়ে তুমি তার থেকে নিস্কৃতি পাবে কী করে ? এ সমস্ত হ্যায়শাস্ত্রের তর্ক নয়— এ সমস্ত তুর্ভাবনা চতুৰ্দ্দিকব্যাপী স্বকঠোর বাস্তবতার উপরে প্রতিষ্ঠিত । রাষ্ট্রিক অধিকারের ভাগবাটোয়ার নিয়ে আলোচনা চলচে আজকাল— যেন লঙ্কাভাগ করতে বসেচি অথচ সমস্ত লঙ্কাই যাচ্চে তলিয়ে । তুমি তো সস্তানের জননী, మl) d ॐ » १