পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবতার প্রতি আমাদের মানবদায়িত্ব নেই। জগন্নাথকে পুরোহিত স্নান করায়, কাপড় পরায়, পাখার হাওয়া করে, ওষুধ খাওয়ায়— যদি তার অর্থ এই হয়, যে, মানুষের মধ্যে জগন্নাথেরই স্বানের, কাপড় পরার ওষুধ খাওয়ার সত্যই প্রয়োজন আছে তাহলে কি এমনতরো খেলা করে নিজের দায় সেরে নিতে প্রবৃত্তি হয় ? তাহলে সমস্ত বুদ্ধি সমস্ত শক্তি নিয়ে মানবভগবানের অন্নবস্ত্র পানীয় পথ্যের আয়োজন করতে হয়। যুগে যুগে আমরা তাতে অবহেলা করেছি বলেই মন্দিরের ভগবান পাও পুরুতের মধ্যেই পরিপুষ্ট হয়ে উঠচেন লোকালয়ে তার কণ্ঠার হাড় বেরিয়ে পড়ল, র্তার পরনে ট্যানা জোটে না । দুঃখবেদনার অনুভূতি থেকে তুমি নিজেকে বাচাতে চেয়েচ। ভক্তি বা হৃদয়াবেগের নেশা দিয়ে ফল পাবে না । তোমার ভালোবাসা যেখানে জ্ঞানে কৰ্ম্মে ত্যাগে তপস্যায় ষোলো অানা পূর্ণ সেইখানেই তোমার পরিত্রাণ। যে সেবা সৰ্ব্বাঙ্গীণভাবে সত্য এবং যে সেবায় তোমার মনুষ্যত্ব সম্পূর্ণ সত্য হতে পারে সেইখানেই আনন্দ— সে আনন্দ দুঃখকে স্বীকার করে, তাকে এড়িয়ে নয়। মানুষের দেবতার কাছে তুমি নিজেকে উৎসর্গ করে দাও— তিনি যদি তোমাকে তুঃখের মালা পরিয়ে দেন তবে সেই মালা দিয়েই তিনি তোমাকে বরণ করে আপন করে নেবেন —তার চেয়ে আর কি চাই ? তোমার চিঠিতে তোমার কবিতার যে পরিচয় পেয়েছি তাতে আমি বিস্মিত হয়েচি। অত্যন্ত খাটি কবিতা, বানানো নয়, পরিণত লেখনীর সৃষ্টি। তুমি বাংলাদেশে অনেককে আবিষ্কার করেচলিখেচ Ե