পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিত্তে নিজের চিকিৎসায় মন দিয়ো, ওষুধ এবং পথ্য সম্বন্ধে নিয়মপালনে ঔদাসীন্য কোরো না । তোমার শরীরে কোনো রোগ নেই সে আমি পূর্বেই নিশ্চিত জানতুম— নিজের মনের প্রতি তুমি নিৰ্ম্মম, কল্পনার যোগে তাকে কারণে অকারণে নিয়তই পীড়ন করা তোমার অভ্যস্ত হয়ে এসেচে। তোমার কল্পনাকাশে উনপঞ্চাশ বায়ু এলোমেলো ভাবে বইতে থাকে, সোজা জিনিষকে বাকিয়ে দেয়, অগস্ত জিনিষকে ভেঙে ফেলে । সেই বায়ুকে শাস্ত করবার কোনো ওষুধ যদি কবিরাজের ঝুলিতে থাকে তাহলেই তুমি শান্তি পাবে। আমার কাছ থেকে যদি চিঠি না পাও তাহলে নিশ্চয় জেনো তার কারণটা নিতান্ত বাহ্যিক এবং উপেক্ষার যোগ্য— কখনো থাকি ক্লান্ত, কখনো থাকি ব্যস্ত, কখনো থাকি অন্ত্যমনস্ক, তাছাড়া আলস্য আমার সৃষ্টিকৰ্ত্ত। অামার মজ্জায় সঞ্চার করে দিয়েছেন— তার অমোঘ বিধানের বিরুদ্ধে হার মানতেই হয় । ইতি দোলপূর্ণিমা [ ১৭ ফাল্গুন) ১৩৪০ प्रांप्री પૂર્વે বাসস্তী ফুলের খবর জানতে চেয়েছ । ভাষায় বর্ণনা করে জানাবার উপায় নেই। একটি ফুল চিঠির মধ্যে পাঠালুম— কিন্তু ডাকঘরের দলনে পিষ্ট হয়ে যখন তোমার হাতে পৌছবে お > b ২৩৩