পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এ পথ কোনোদিন পেরোই নি। আমি প্রায় প্রথম থেকেই সাহিত্যের পথেই ইংরেজি ভাষার পরিচয় পেয়েছিলুম। আমি কোনো কোনো মেয়েকে ইংরেজি শিখিয়েছি— একেবারে গোড়া থেকেই বই পড়াতে শুরু করেছিলুম। প্রথম প্রথম চার পাচ লাইনের বেশি এগোতো না ছ মাসের পর অভিধান মিলিয়ে নিজেরা তারা গল্পের বই পড়েছেন। কলম্বো সহর থেকে ১৬ মাইল দূরে এসেছি। জানলা থেকে চেয়ে দেখচি সম্মুখে নারিকেলের ছায়া বিছানো তীর পেরিয়ে সমুদ্র ফেনিল তরঙ্গে পৃথিবীকে অভিষিক্ত করচে। বাতাস বইচে স্নিগ্ধ স্থমন্দ— নারিকেলের চঞ্চল শাখা মৰ্ম্মর শব্দে আন্দোলিত — বাসন্তীকে আশীৰ্ব্বাদ জানিয়ে । ইতি ২১ মে ১৯৩৪ দাদা S কল্যাণীয়াসু তুমি হাত দেখিয়ে গ্রহবিচার করিয়ে আমার চরিত্র এবং জীবনের ঘটনা সম্বন্ধে অনেক খবর পেয়ে থাকো, কেন এ সংবাদটা সংগ্রহ করতে পারলে না যে আমি কিছুকাল থেকে নানাবিধ কৰ্ম্মে, রচনায়, আতিথ্যসৎকারে, তুশ্চিন্তায়, দৈহিক দুৰ্ব্বলতায় ভারাক্রান্ত হয়ে আছি। এই জন্যে অনেককাল কাজের চিঠি ছাড়া অন্য সকল চিঠি লেখাই বন্ধ হয়ে আছে। শুধু কাজের 는 8