পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিচ্ছুরিত হচ্চে প্রভাতের সূর্য্যকিরণ, চেয়ে চেয়ে চোখ ফেরাতে ইচ্ছে করে না । সেখানে আকাশ অবারিত, দিগন্ত পৰ্য্যন্ত দৃষ্টির অধিকার— আমার চোখের ছুটি মনের ছুটি দ্য লোকে ভূলোকে। বরানগরের যে কোণে আশ্রয় নিয়েছি এখানেও বিশ্বপ্রকৃতির আতিথ্য পাওয়া যায় । চোখ মেলে দেখতে পাই বাংলা পল্লীশ্ৰীকে। জানলা থেকে সামনে দেখা যায় পুকুরের একটা প্রাস্ত কলমি শাকে ঢাকা, নারকেল স্বপুরি মাথা তুলে দাড়িয়ে আছে সব গাছকে ছাড়িয়ে— আম কঁঠাল জামরুল বাতাবিলেবুর ঘনসন্নিবিষ্ট গাছে গাছে আকাশকে অন্তঃপুরে আবদ্ধ করেছে। কিছু দূরে আলসেহীন দোতলা বাড়ির ছাদ থেকে সাড়ি ঝুলচে— গাছপালার অন্তরালে প্রতিবেশীদের বাড়ি থেকে গ্রামোফোনের খেলো সুর শোনা যাচ্চে, বাড়ির পিছন থেকে লিচুগাছের কোন প্রচ্ছন্ন ডালের থেকে ডাকচে “চোখ গেল” । প্রথম শরতের ঈষৎ স্নিগ্ধ বাতাস দিয়েছে রৌদ্রে ঝিলমিল করতে করতে তুলচে নারকেলের ডালগুলি । ইতি ২৯ সেপ্টেম্বর ১৯৩৪ দাদা 为龟之 ৯ অক্টোবর ১৯৩৪ હૈં কল্যাণীয়াসু তোমার প্রেরিত ফলের ঝুড়ি এই মাত্র এসে পৌছল। তার ভোগও আরম্ভ হয়েছে। রেলযাত্রায় ও পরস্পরের পেষণে