পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফলগুলি বেশি ক্লিষ্ট হয় নি। প্রায় সবগুলিই প্রসন্ন আছে। শীতলপাটিও ব্যবহারে লাগবে । আজ থেকে বিদ্যালয়ের ছাত্র ও অধ্যাপকদের এই প্রান্তরের বাসা শূন্ত হতে আরম্ভ হোলো। পশু দিনের মধ্যে মানবজাতীয় নানা পক্ষীর প্রায় সকলেই দশদিকেতে অন্তর্ধান করবে । বাকি থাকবে আমাদের গাছপালা আর ডানাওয়ালা পাখীগুলি । এই সময়টি এখানে অত্যন্ত মনোরম– এক মুহূৰ্ত্তের জন্যে কোথাও যেতে ইচ্ছে করে না, এবং কাজকৰ্ম্ম করতেও মন যায় না । দেবতারা যে আলস্যপাত্র পূর্ণ করে নন্দনবনে সুধাপান করে থাকেন সেই পাত্রটি চুরি করে আনতে ইচ্ছে করে । তাদের কারো কাছে কোনো জবাবদিহি নেই। আমরা কর্তব্যবিরত হলেই নীতিজ্ঞ সাধুজনের তর্জনী তুলে ভৎসনা করতে আসেন। বিপদ এই, সেই নীতিজ্ঞ যে কেবল বাইরেই আছেন তা নয়, তিনি ভিতরেও কোথাও এক কোণে বাসা নিয়েছেন— অন্যমনস্ক হলেই তার সাড়া পাওয়া যায়, ধড়ফড় করে চমকে উঠতে হয়। অতএব এখানকার পালা শেষ করে দেবলোকে যদি আমার গতি হয় তবেই স্বগীয় অবকাশের অধিকার নিঃসঙ্কোচে দাবী করতে পারব— অমরাবর্তীতে কবির প্রয়োজন থাকতেও পারে এই আমার একমাত্র আশা । আমি বাসস্তীর জন্যে আমাদের বর্ষামঙ্গলের একটা প্রোগ্রাম পাঠাচ্ছি । গান শুনলে নাচ দেখলে নিশ্চয় সে খুসি হোতো— কল্পনায় প্রত্যক্ষতার অভাব যতটা পারে পূরণ করে নিতে বোলো । সঞ্চয়িতার ২য় সংস্করণ তোমার জন্যে পাঠাই— ওতে অনেক বেশি কবিতা আছে। ১৯ অক্টোবরে এখান থেকে ২৬৭