পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিষয় নিয়ে আলোচনা করেচি, কদাচ সেটাকে অনুশাসন বলে গ্রহণ কোরো না -– সত্যের সঙ্গে আমাদের সম্বন্ধ আমাদের নিজেদের স্বভাবের পথে ! তোমার স্বভাবের অনুগত হয়ে তুমি যে উপলব্ধি সংগ্রহ করেচ অামার কাছে সে জিনিষটি নেই সুতরাং তোমাকে কখনোই বলতে পারব না যে আমি যে সাধনায় যে অনুভূতিতে এসেচি সেইটি তুমি যদি গ্রহণ না করে। তবে আমি রাগ করব। এরকম অদ্ভুত জবরদস্তি একেবারেই আমার স্বভাববিরুদ্ধ। অবশ্য যেখানে ধৰ্ম্মের নামে স্পষ্টতই অন্যায় অত্যাচার এবং অধৰ্ম্ম চলচে সেখানে তাকে আমি কোনো কারণেই স্বীকার করে নিতে পারি নে । কিন্তু যেখানে আধ্যাত্মিক রসসম্ভোগে কোন ক্ষতি নেই সেখানে জোর করে প্রতিবাদ করা গোয়ারের কাজ । আমি কেবল নিজের কথাই বলতে পারি— আমার মন কোনো প্রতীককে আশ্রয় করতে স্বভাবতই অক্ষম । সহস। মনে হতে পারে এটা কবিজনোচিত নয়। ভাবকে রূপ দেওয়া আমার কাজ– আমার সেই সৃষ্টিতে আমার আনন্দ । সেখানে রূপ আগে নয়, ভাব আগে, রূপের সঙ্গে ভাব নিজেকে বাইরে থেকে মেলায় না— নিজের রূপ-দেহ সে নিজেই স্থষ্টি করে— আবার তাকে অনায়াসে ত্যাগ করে নতুন রূপের মধ্যে প্রকাশ খোজে । কোনো ধৰ্ম্মগত প্রথা যে সব রূপকে বাহির থেকে বদ্ধ করে রেখেচে, আমার চিত্তের ধ্যান তার মধ্যে বাধা পায়। শুধু তো মূৰ্ত্তি নয়, তার সঙ্গে আছে কাহিনী— তাকে রূপক জোর করে বলি— অভ্যস্তভাবে তাকে গ্রহণ করি, ভাবকে যেখানে X \}